এগোচ্ছে বাংলা, সরকারি স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম

হলদিয়া: দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটালের প্রভাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে সকাল থেকে রাত সারাক্ষণের সাথী ডিজিটাল জিনিসপত্র। আর সেই ডিজিটালের প্রভাব এবার সরকারি স্কুলে। ব্ল্যাকবোর্ড এর বদলে সম্পূর্ণ ডিজিটাল বোর্ড৷ শিক্ষক মহাশয় তাতেই ছবি দেখিয়ে কিংবা টাচ করে লেখা পড়া বোঝাচ্ছেন৷ আর ছাত্র ছাত্রীরা তা মনোযোগ দিয়ে শুনছে বা দেখছে। হ্যাঁ এমনই পঠন পাঠন হচ্ছে কোনও কলেজ কিংবা বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়৷ হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার পরানচক শিক্ষানিকেতনে।

স্কুলটিতে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১৪৫৬ জন৷ পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির আর্টস, কমার্স, সায়েন্সের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীই স্মার্ট ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা পাচ্ছে৷ হলদিয়া পুরসভার এই একটি মাত্র স্কুলেই ২০১৮ তে শুরু হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়া। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড ও রাজ্য সরকার। খুশি স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্র ছাত্রীরা সকলেই। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দিতে শিক্ষকরা যেমন খুশি তেমনি ছাত্র ছাত্রীরাও খুশি। সরকারের এই ডিজিটাল পদ্ধতিকে এক বাক্যে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলারা।

স্কুলের ছাত্র অমল মাজী, নন্দিতা করের মত অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, যুগের পরিবর্তন হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তালমিলেয়ে চলতে হলে ডিজিটাল ক্লাসরুমের খুব প্রয়োজন ছিল। এই ধরণের ক্লাসরুমে ক্লাস করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বই পড়ে বা স্যরদের পাঠদান শুনে মনে রাখা যতটা কঠিন ছিল৷ ডিজিটাল ক্লাসরুমে ভিডিও বা গ্রাফিক্সের মাধ্যমে স্যররা যখন বোঝাচ্ছেন তখন সহজেই সব কিছু মনে রাখা সম্ভব হচ্ছে। ডিজিটাল ক্লাসরুমের কারণে আগের থেকে অনেক বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারছি।

স্কুলের দর্শন বিভাগের শিক্ষক পিন্টু আচার্য জানান, আগে ক্লাসে ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি খুব কম থাকত। ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসরুমের যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। আর ভিডিও বা গ্রাফিক্সের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বোঝালেই তারা সহজেই সব কিছু বুঝে যাচ্ছে। ডিজিটাল ক্লাসরুমের কারণে আগামী শিক্ষাবর্ষে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফল করবে এটা আমাদের আশা।