কেরলের বন্যা 'জাতীয় বিপর্যয়' নয়, 'গুরুতর দুর্যোগ' ঘোষণা কেন্দ্রের


গত কয়েক দিন ধরে কেরলের বন্যা পরিস্থিতিকে 'জাতীয় বিপর্যয়' ঘোষণা করার দাবি উঠছিল। কিন্তু কেরলের বন্যাকে 'গুরুতর দুর্যোগ' ঘোষণা করল কেন্দ্র। সোমবার হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, "কেরলের বন্যাকে গুরুতর দুর্যোগ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। কোনও দুর্যোগ যত বড়ই হোক না কেন, জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার কোনও ব্যবস্থা নেই আইনে।"

দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, "কেরলে বন্যা ও ধসের তীব্রতা ও মাত্রা বিবেচনা করে সমস্ত দিক মাথায় রেখে একে গুরুতর আকারের বিপর্যয় বলা যায়।" এদিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠছে বানভাসি কেরল। শতাব্দীর সবচেয়ে বিধ্বংসী বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য।

উদ্ধারকাজেও তৎপরতা বেড়েছে কয়েক গুণ। সর্বশক্তি দিয়ে বন্যা কবলিত মানুষদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় চারশো ছুঁইছুই। লক্ষাধিক মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে আগামী পাঁচদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাতেই নতুন করে বাঁচার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন কেরলের মানুষজন। সারাদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ৯০ শতাংশ উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলে জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

সোমবার সকালেই কোচির নৌসেনার বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে বিমান। আগামী কয়েকদিন নৌসেনার এই বিমানঘাঁটি থেকেই উড়ান চলবে। তিরুবনন্তপূরম এবং এর্নাকুলামের মাঝে ২০০ কিলোমিটার ট্রেন চলাচল করেছে। ইডুক্কি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। কিছু এলাকায় এটিএম পরিষেবাও চালু হয়েছে। টেলিফোন এবং কেবল পরিষেবা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়েছে।

ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক এবং কর্মীরা সকলের কাছে যাতে ত্রাণ পৌঁছয় সেদিকেও কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই সিআরপিএফ-এর পাঠানো ত্রাণ নিয়ে তামিলনাডু থেকে কেরলে পৌঁছেছে ১২টি ট্রাক। একাধিক জায়গায় জল নামতে শুরু করেছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলে গেলে আগামী কয়েকদিনে কেরলের বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে বলে আশা করছেন। ইতিমধ্যেই গোটা দেশ থেকে ত্রাণ পৌঁছতে শুরু করেছে কেরলে।