‘মোমো চ্যালেঞ্জে’ এর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার?


ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে মারন অনলাইন গেম 'মোমো চ্যালেঞ্জ' খেলে আত্মহত্যা করে প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। এবার এই মারন গেমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষনা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এক সরকারী আধিকারিক পিটিআই কে জানিয়েছেন প্রত্যেক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বভাবের উপরে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে।

"প্রতিদিন এই গেম জনপ্রিয়তা লাভ করছে। ব্লু হোয়েল ভ্যালেঞ্জের পরে এবার এই 'মোমো চ্যালেঞ্জে' প্রধানত হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা প্রত্যেক জেলার আধিকারিকদের এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।" বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমিধ্যেই এই 'মোমো চ্যালেঞ্জে' গেম দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং এর মনিশ সারকি (১৮) আর অদিতি গোয়েল (২৬) এর প্রান নিয়েছে। পুলিশের সন্দেহ এই দুজনেই 'মোমো চ্যালেঞ্জে' খেলতে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। "এই গেম খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের কাছে প্রতিদিনই এই গেম খেলার খবর আসছে।" বলে জানিয়েছনে এক সরকারী আধিকারিক। প্রথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে সব ব্যক্তি হতাশায় ভোগেন প্রধানত তারাই এই গেম খেলছেন।

২১ অগাস্ট জলপাইগুড়ির কবিতা রাই এর কাছে এই মারন গেম খেলার আমন্ত্রণ পৌঁছায়। এর পরেই তিনি পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কোলকাতা পুলিশের সাইবার সেল জানিয়েছে ইতিমিধ্যেই এক আইটি কর্মীর কাছে এই গেমের আমন্ত্রণ পৌঁছেছে।
"আমার বন্ধুরা বারন করেছিল বলে আমি এই আমন্ত্রণের উত্তর দিই নি। বৃহষ্পতিবার রাতে আমার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে এই রিপোর্ট পৌঁছায়।" বজে জানিয়েছেন রাজশ্রী উপাধ্যায়। সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে এখনো পর্যন্ত এই গেমের সম্পর্কিত বেশিরভার অভিযোগ জলপাইগুড়ি, কার্শিয়াং, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে এসেছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশের কাছে কলকাতা থেকে মাত্র একটি 'মোমো চ্যালেঞ্জে' খেলার অভিযোগ জমা পড়েছে।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এক সাইবার বিশেষজ্ঞ বলেন, "এই গেমের অ্যাডমিনরা সোশ্যাল মিডিয়াল মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ভয় দেখাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়াইয় যে সব মানুষ হতাশার পোস্ট করেন তাদের বেছে এই কাজ করছেন গেম অ্যাডমিনরা।"

তিনি আরও বলেন "এই গেমের হাত থেকে বাঁচার জন্য অজানা লিঙ্কে ক্লিক করার থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদল করা প্রয়োজন।"

যদি কেউ এই গেমের আমন্ত্রণ পান তৎক্ষণাত স্থানীয় পুলিশ স্টেশানে খবর দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর সাথেই প্রত্যেক জেলার স্কুলগুলিতে ছাত্রদেরব উপরে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।