হন্যে হয়ে ঘুরেও চাকরি পাননি ! চা বিক্রি করেই খাবার জোগাড় করেন ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন বন্দনা


ভোপাল: একেই হয়তো বলে ভাগ্যের পরিহাস ৷ ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন বন্দনা সূর্যবংশী ৷ রাষ্ট্রীয় এবং অন্ত:রাষ্ট্রীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০টিরও বেশি মেডেল জিতেছেন ! কিন্তু তিনিই আজ টাকার অভাবে পথে বসেছেন ৷ দু'বেলা দু'মুঠো খাবারের জন্য ঠেলাগাড়িতে চা বিক্রি করেন ৷ আর সঙ্গে সিঙারা ৷

ক্যারাটে চাম্পিয়ন বন্দনা রুটি রুজির জন্য সকলের দোড়ে দোড়ে ঘুরেছেন একটা সময়ে ৷ যদি কেউ একটা চাকরি দয়া করে দেন ৷ সেই জন্য হাতে পায়ে ধরতেও বাকি রাখেননি বন্দনা ৷ অবশেষে, একটা চাকরি জুটেছিল বটে ৷ আদিম জাতি কল্যাণ বিভাগের হস্টেলে সেল্ফ ডিফেন্সের ট্রেনিং দিতেন তিনি ৷ বেশ কয়েকবছর চাকরি করেন তিনি ৷ সেখানে মেয়েদেন আত্মরক্ষার জন্য ট্রেনিং দিতেন বন্দনা ৷ কিন্তু সেই সুখও বেশিদিন টেঁকেনি তার ৷ হস্টেল কর্তৃপক্ষের বদলের পর সেই চাকরিটাও হারিয়ে ফেলেন বন্দনা ৷

বিনা কারণে বন্দনাকে ওই হস্টেলে সেল্ফ ডিফেন্সের শিক্ষিকার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ পাশাপাশি, ৬ মাসের বেতনও দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি ৷ চাকরি হারানোর পরও তিনমাস বকেয়া বেতনের আশায় হন্যে হয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু কোনও কাজের কাজ হয়নি ৷ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বন্দনা ৷

বন্দনা বলেন, 'ছোট থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ক্যারাটে খেলোয়াড় হওয়ার ৷ আশা করেছিলাম সরকারের থেকে কিছু আর্থিক সাহায্য পাব কিংবা অন্ততপক্ষে একটা চাকরির ব্যবস্থা যদি করে দিত সরকার ৷ তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্যারাটে খেলার প্রতি বিশ্বাস বাড়ত ৷ আরও অনেকে উৎসাহী হয়ে খেলতে আসত ৷'

গত তিন বছর ধরে বাড়ির সামনেই চায়ের স্টল দিয়েছেন বন্দনা ৷ স্বামী স্ত্রী মিলে কোনওমতে দু'বেলা দু'মুঠো খাবার মুখে তোলার ব্যবস্থা করে নিয়েছেন তারা এভাবেই ৷