আরপিএফ নিয়োগে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করবে রেল।


রেলে আরপিএফ নিয়োগে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন মহিলারা। রবিবার পাটনাতে এমনই ঘোষণা রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের। খুব শিগগির আরপিএফ নিয়োগের কাজে হাত দেবে ভারতীয় রেল। প্রায় ১০ হাজার জওয়ান নিয়োগের ব্যবস্থা হচ্ছে। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ আসন থাকবে মহিলারদের জন্যই। শনিবারই মুঘলসরাই নাম বদলে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন হয়ে যাওয়ার পর নতুন নামকরণের অনুষ্ঠানে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের পতাকা উত্তোলন করেন মহিলা কর্মীরা। এরপরেই কর্মী নিয়োগে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, শুধু আরপিএফ নয়। খুব শিগগির কর্মী নিয়োগ শুরু করবে রেল। একসঙ্গে ১৩ হাজার কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। কম্পিউটারেই হবে পরীক্ষা। সেখানে উত্তীর্ণ হলে নিয়োগপ্রার্থীদের ইন্টারভিউতে ডাকা হবে।

বলা বাহুল্য, সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে ভারতীয় রেল। প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি কর্মী রয়েছেন এখানে।  এত বেশি সংখ্যক কর্মী থাকা সত্ত্বেও রেল নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষের শেষ নেই। প্রায় প্রাণ হাতে করেই চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। দূরের যাত্রাপথে প্রয়োজনে রেলরক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায় না। আসন সংরক্ষণ নিয়ে দূর্নীতি। আইআরসিটিসির খাবার। কী নেই সেই তালিকায়। এদিকে পরিষেবার মান পড়লেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টিকিট মূল্য। তার উপরে নির্ধারিত সময়সূচির তোয়াক্কা না করে দেরিতে চলার প্রবণতা প্রায় অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বীতশ্রদ্ধ যাত্রীরা রেলের বদলে বিমান পরিষেবাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রায় একই ভাড়া দিয়ে অনেক আগে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার এই সুযোগ অনেকেই হাতছাড়া করতে চাইছেন না। তাই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির যাত্রী কমছে রেলে। এতেই কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। উন্নতমানের যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি বিমান পরিবহণ সংস্থাকে টক্কর দিতেই আসরে নেমেছে ভারতীয় রেল। তাই কর্মী নিয়োগের সংখ্যা বাড়িয়ে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার পাশাপাশি হৃতগৌরব ফিরে পাওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

Highlights
আরপিএফ নিয়োগে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করবে রেল।
বিমাণ পরিষেবার সঙ্গে পাল্লা দিতেই আসরে ভারতীয় রেল।