অশান্তি অতীত, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের কাজ শুরু হয়ে গেল ভাঙড়ে


কাজ শুরু হয়েছে সাবস্টেশনের। পাওয়ার গ্রিডের সামনে জড়ো হয়েছেন গ্রামবাসী, পুলিশ।

বছর দেড়েকের রক্তক্ষয়, ঘন ঘন মিটিং-মিছিলের পর অবশেষে ভাঙড় আন্দোলনের সমাপ্তি হল। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের বদলে মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু হল সাবস্টেশনের।
গত ১১ অগস্ট ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারী এবং সরকারের পক্ষে আলোচনা হয়। তাতে স্থির হয়, পাওয়ার গ্রিডের বদলে ওই জায়গায় পাওয়ার সাবস্টেশন তৈরি হবে। আন্দোলনকারীরা সেই চুক্তিতে রাজি হন। ক্ষতিপূরণ বাবদ গ্রামবাসীদের ১২ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয় ওই চুক্তিতে। এ দিন সকাল থেকেই সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে।

এ দিন ভাঙড়ে গিয়ে দেখা যায়, পাওয়ার গ্রিডের কাছে পুলিশ, গ্রামবাসী এবং পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের লোকজন জড়ো হয়েছেন। সাবস্টেশনের ভূগর্ভস্থ তার নিয়ে যাওয়ার জন্য জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেই কাজ শুরু করার আগে পাওয়ার গ্রিডের যন্ত্রপাতি বার করা হবে।

বছর দেড়েকের এই আন্দোলনের জেরে এর আগেই একবার পাওয়ার গ্রিডের বদলে সাবস্টেশন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার পক্ষ। সাবস্টেশনের কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। রাজারহাট-গোকর্ণ-পূর্ণিয়ার দিকে একটি লাইনের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছিল। জিরাট-সুভাষগ্রামের দিকে দ্বিতীয় লাইনের কাজও অনেক দূর এগিয়েছিল। এর মধ্যেই নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়। মাঝ পথেই থেমে যায় সাবস্টেশনের কাজও।

ফের গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার পক্ষ তাঁদের নিশ্চিত করেন ওই জমিতে সাবস্টেশনই হবে। এর পরই গ্রামবাসীরা তাতে সম্মত হন। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের মনে এখনও সন্দেহ রয়েছে সরকার পক্ষের উদ্দেশ্য নিয়ে। তাঁদের ধারণা, আন্দোলনকারীরাই শেষ পর্যন্ত সরকার পক্ষের কাছে আত্মসমর্পন করলেন।

জমি আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক মির্জা হাসান বলেন, ''আমরা চিরকারলই পাওয়ার গ্রিডের বিরুদ্ধে। সাবস্টেশনের কাজ শুরু করার জন্য আমাদের যা দাবি ছিল, মেনে নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১২ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে।''