১৯-এর প্রেমিককে যুবতীর সঙ্গে লিভ-ইনের অনুমতি হাইকোর্টের


ছেলেটির বয়স ১৯। তাঁর প্রেমিকার বয়স ২০। এখনই বিয়ে করতে পারছেন না। কারণ ছেলেটির বিয়ের বয়স হয়নি। তবে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চান ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে। পরিবারের তীব্র আপত্তি থাকলেও অনুমতি দিল আদালত। গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছে, কেউই নাবালক নন। আইন অনুযায়ী, যাঁর সঙ্গে ইচ্ছে তাঁর সঙ্গেই থাকতে পারেন ওঁরা। 

মেয়েটি যেখানে থাকতে চায় পুলিশ এসকর্ট করে তাকে সেখানেই পৌঁছে দেবে বলে আদালতকে আশ্বস্ত করেছে রাজ্য সরকার। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনকে ছেড়ে বুধবার প্রেমিকের কাছে চলে যায় ওই যুবতী। গত ১৯ জুলাই গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই তরুণ। আদালতকে সে জানায়, তার প্রেমিকাকে জোর করে তার থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে মেয়েটির পরিবার। ছেলেটি যুক্তি দেয়, যেহেতু তার বিয়ের বয়স হয়নি, তাই সে তার প্রেমিকাকে আইনত বিয়ে করতে পারছে না। সে জন্যই তারা লিভ-ইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে একটি কন্ট্র্যাক্টে তারা সই করেছে। সেই নথিকে আইনসম্মতও করিয়েছে তারা।

বন্ধুত্বের এই চুক্তিপত্রে আস্থা রেখেছে পিটিশনার। কারণ তার প্রেমিকা যে তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক, সে কথা তাতে লেখা রয়েছে। জুন মাসে তারা একবার ১০ দিনের জন্য পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় তাদের পরিবার তাদের পেছনে ধাওয়া করে খুঁজে বের করে বলে অভিযোগ। তাদের জীবনে পরিবারের অযাচিত হস্তক্ষেপ তারা মানে না বলে আদালতকে জানিয়েছে তরুণটি।

তার আবেদন পাওয়ার পর হাইকোর্ট সুরেন্দ্রনগর জেলা পুলিশকে ওই মেয়েটিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। আদালতে গিয়ে মেয়েটি জানায় যে, সে তার মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় না। সবকিছু শুনে তাকে তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেয় আদালত।