ধর্ষণ না বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক? পুকুর পারে উদ্ধার গৃহবধূর নগ্ন দেহ


বাঁশবনের মধ্যে পড়েছিল জুতো। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের দেহে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।


এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে। সোমবার রাতে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতের নাম রুনা লাইলা খান। বয়স ৩৫ বছর। পুলিসের প্রাথমিকভাবে অনুমান, শারীরিক নির্যাতনের পরই খুন করা হয়েছে ওই গৃহবধূকে। পাশাপাশি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।

কুলপি থানার কচুবেড়িয়া গ্রামে করিমপুর হাট এলাকায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন রুনা লাইলা খান। মৃতার স্বামী জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিন বিকালেই করিমপুর হাট থেকে গ্রামের বাড়িতে যেতেন রুনা লাইলা। সোমবার দিনও গিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় আর বাড়ি ফেরেননি রুনা। রাত বাড়তেই স্ত্রীর খোঁজে বেরন রুনা লাইলার স্বামী। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর, রাত তখন ১০টা, আচমকাই রুনা লাইলা খাঁ-র স্বামীর চোখে পড়ে গ্রামের বাড়ির একটু দূরে বাঁশবনের মধ্যে পড়ে রয়েছে তাঁর স্ত্রীর জুতো।

জুতো পড়ে থাকতে দেখেই সন্দেহ হয় রুনা লাইলার স্বামীর। লাইল নিয়ে ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। এরপরই পুকুর পারে নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকা দেহটি তাঁর চোখে পড়ে। চিত্কার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন রুনা লাইলার স্বামী। তাঁর চিত্কারে শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় কুলপি থানায়। পুলিস এসে বিবস্ত্র অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসাপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।

পুলিস জানিয়েছে, মৃতের দেহে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। গায়ে বেশকিছু গয়না ছিল রুনা লাইলা খাঁর। কিন্তু, সেইসব গয়না-ই উধাও। প্রাথমিকভাবে অনুমান, শারীরিক নির্যাতনের পরই খুন করা হয়েছে রুনা লাইলাকে। পাশাপাশি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।