বিয়ে ভাঙার পরেও প্রেম! সম্পর্কের টানাপোড়নে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী।


কাটোয়া: পাকা কথাই শুধু নয়, আর্শীবাদ পর্যন্ত হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ে ভেঙে যায়। এদিকে ততদিন পাত্র-পাত্রী একে অপরকে ভালবেসে ফেলেছেন! বিয়ে নিয়ে টানাপোড়েনে শেষপর্যন্ত গলা দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক কলেজ ছাত্রী। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। কোনও পক্ষই অবশ্য এখনও পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
 
পূর্ব বর্ধমানের ভাল্য গ্রামের তরুণী প্রিয়াঙ্কা সাহা। এ বছরই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কাটোয়া কলেজে ভরতি হয়েছিলেন তিনি। প্রায় মাস ছয়েক ধরে মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কার বাড়ির লোকেরা। বর্ধমানেরই ভাতারের বাসিন্দা শুভেন্দু সাহার সঙ্গে বিয়ে পাকা কথাও হয়ে গিয়েছিল। মাস দেড়েক আগে পাত্রকে আর্শীবাদও করে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কার বাড়ির লোকেরা। কিন্তু, শেষপর্যন্ত বিয়ে ভেঙে দেন তাঁরা। মৃতার বাড়ির লোকের বক্তব্য, বিয়ের কথা চলার সময়ে চাকরি নিয়ে তাঁদের ভুল তথ্য দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এমনকী, আর্শীবাদের উপহার পছন্দ না হওয়ায় হবু শ্বশুরবাড়ির লোকেদের রীতিমতো অপমান করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, বিয়ের ভাঙার পরেও শুভেন্দু ও প্রিয়াঙ্কার যোগাযোগ ছিল। তাঁরা একে অপরকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। কিন্তু, শুভেন্দুর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না প্রিয়াঙ্কার পরিবারের লোকেরা। বস্তুত, দু'জনকেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রিয়াঙ্কা সাহা। মৃতের পরিবারের অবশ্য দাবি, ভালবেসে নয়, বরং চাপে পড়ে শুভেন্দুর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বিয়ের জন্য রীতিমতো চাপও দিতেন ওই যুবক। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন বছর আঠেরোর ওই তরুণী। এদিকে আবার চাকরি নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া ও প্রিয়াঙ্কার বাড়ির লোকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অস্বীকার করেছেন শুভেন্দু সাহা। তাঁর দাবি, 'ওদের বাড়ি থেকে বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা দু'জনেই বিয়ে করতে রাজি ছিলাম। বিষয়টি জানাতেন প্রিয়াঙ্কার বাড়ির লোকেরাও। মা ও মামা ওর উপর প্রচণ্ড অত্যাচার করতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে প্রিয়াঙ্কা।' যদিও এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।


Highlights
মঙ্গলকোটের প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল ভাতারের শুভেন্দুর।

আর্শীবাদের পরেও বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রীর বাড়ির লোকেরা।

শুভেন্দুকে ভালবেসে ফেলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা।