পণের দাবিতে অত্যাচার, ধর্ষণ ; বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ

শান্তিপুর : গায়ের রং কালো। তাই আরও পণ লাগবে। অভিযোগ, পণের দাবিতে বিয়ের পর থেকেই চলত অমানুষিক অত্যাচার। তার উপর কন্যাসন্তান হওয়ায় অত্যাচার আরও বাড়ে। শেষপর্যন্ত যুবতিকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আরও অভিযোগ, স্বামীর বিদেশে থাকার সুযোগে নন্দাই একাধিকবার ধর্ষণ করে তাঁকে। তার ইন্ধনেই চলত অত্যাচার। ঘটনাটি নদিয়ার ধানতলার ধরেন্দ্রপুরের। দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত নন্দাই ভীম সাধুখাঁ পলাতক।

বছর পাঁচেক আগে ধানতলার ধরেন্দ্রপুরের পিন্টু সাধুখাঁর সঙ্গে শান্তিপুরের বৃন্দাবন সাধুখাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পণ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মেয়ের গায়ের রং কালো তাই আরও পণের জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অভাবের জন্য পণের টাকা দিতে পারেননি বৃন্দাবনবাবু। ফলে অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশই বাড়ে। সেই সঙ্গে চলত মানসিক অত্যাচার। এরই মধ্যে একটি কন্যাসন্তান হয় ওই যুবতির। ফলে আরও বাড়ে অত্যাচার। 

আরও অভিযোগ, স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে নন্দাই ভীম সাধুখাঁ একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করে। নন্দাইয়ের ইন্ধনেই নাকি চলত অত্যাচার। লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার বাবার বাড়ি আসার সিদ্ধান্ত নেন যুবতি। অভিযোগ, ওইদিনই তাঁকে ভাতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বৃন্দাবনবাবুকে ফোনে জানানো হয় মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কিন্তু, বৃন্দাবনবাবু হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। 

গতকাল ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বৃন্দাবনবাবু। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধানতলা থানার পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ভীম সাধুখাঁ পলাতক।