পশুপ্রেমেই অতিবাহিত এই মানুষটির জীবন, অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

রেহমত খান, বয়স ৮০ বছর, গুজরাতের চারগ্রামের বাসিন্দা


গুজরাত: চারদিকে নির্জন বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত এই গ্রাম ৷ তবে গ্রাম আছে, আছে জনবসতিও ৷ মানুষের সঙ্গে গৃহপালিত পশুদের বেড়ে ওঠা একই সঙ্গে ৷ অন্য প্রাণীর মানুষের ক্ষেত্রেও অনেক অনুকূল ও প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকে সেই পরিস্থিতি কখনও সহায়ক হয়ে থাকে বা কখনও কখনও অসহায়ক ৷

রেহমত খান, বয়স ৮০ বছর, গুজরাতের চারগ্রামের বাসিন্দা ৷ এমনই একটি মানুষের গল্প আজ আমাদের সামনে এসেছে ৷ যিনি প্রকৃতই পশুপ্রেমী ৷ তাঁর নিজের কোনও পোষ্য নেই, তাঁর কাছে প্রথাগত কোনও শিক্ষা নেই ৷ তবে পশু চিকিৎসায় তাঁর জ্ঞানের পরিধি এতখানিই যে তিনি গ্রামের মানুষের সঙ্গে তা বিনিময় করেন যাতে পোষ্যরা আপাতত প্রয়োজন মত চিকিৎসা পেয়ে ভাল থাকে ৷ অবলা প্রাণীরা ভাল থাকলে তিনিও থাকেন ভাল ৷ সর্বোপরি অবলা প্রাণীদের প্রতি অদম ভালবাসাই মিটিযে সব দূরত্ব ঘুচিয়েছে হারাবার সব যন্ত্রণা ৷

ছোটবেলা থেকেই পশুপ্রেম তাঁর মধ্যে একটু একটু করে সঞ্চারিত হয়েছে ৷ মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই তিনি পশুদের ভালবাসেন ৷ এই পশুপ্রেমই তাঁকে মানসিক সুখ ও আনন্দ দিয়ে থাকে ৷ তিনি পশুদের সেবা শুশ্রুষা করেই জীবিকা নির্বাহ করেন ৷ তিনি দুই ছেলেকে নিয়েই তাঁর সুখের সংসার ৷ ছেলেরাও আজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ৷ অবলা প্রাণীর চোখের ভাষাই মানবিকতাকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে ৷ একে অপরের  পরিপূরক হয়ে উঠেছেন তিনি ৷