বেতন চালু রুখতে শেষ চেষ্টা করতে চলেছেন বাস মালিকরা


কলকাতা: রাজ্যের পরিবহণ দফতরের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও বেতন চালুর ব্যাপারে কোনও সমাধান সূত্র পাননি বাসমালিকরা৷ তাই ১৫ অগাস্টের পর একবার শেষ চেষ্টা করতে চান তারা৷ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের পর পরিবহণ দফতরের সঙ্গে ফের আরও একবার আলোচনায় বসা হবে৷

বাসের রেষারেষি বন্ধ করতে কমিশন প্রথা তুলে দিয়ে বেতন ব্যবস্থা চালু করতে চায় রাজ্যের পরিবহন দফতর৷১ আগস্ট থেকে বাসচালক, কন্ডাক্টরদের জন্য বেতন চালু হওয়ার কথা থাকলেও ১৫ অগাষ্ট থেকে বেতন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী৷ রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন বাসমালিকদের একটা বড় অংশ৷ইতিমধ্যেই ৯ আগস্ট বেতন ব্যবস্থা চালুর সুবিধা–অসুবিধা সংক্রান্ত সাত দফা প্রস্তাব দিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়েছেন তারা৷ তাতে ‌‌কমিশন পদ্ধতি পুনর্বিবেচনারও দাবি করা হয়েছে।

বাসমালিকদের যুক্তি, বেতন চালুর পর বাসকর্মীরা কিছুক্ষণ কাজের পর বসে থাকলে লোকসান হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র‌্যাচুইটি বাবদ মালিকদের খরচ বাড়বে। তাই খরচের দিকটা রাজ্যকে দেখতে হবে। তা না হলে বেতন ব্যবস্থা চালু করা কঠিন। রাজ্যের বাকি জেলায় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতেই বাসচালক, কন্ডাক্টরদের বেতন হয়ে থাকে।
 
উল্লেখ্য, নতুন বেতন কাঠামোয় বাসচালকদের দৈনিক মজুরি ৪৫০ টাকা, কন্ডাক্টরদের ৩৫০ টাকা করার ভাবনাচিন্তা চলছে। নির্ধারিত সময়ের পর প্রতি ঘণ্টার জন্য তাঁরা ২৫ টাকা করে পেতে পারেন। মাসে কতদিন কাজ, তার ওপর নির্ভর করে ঠিক হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনায় বাসচালক, কন্ডাক্টরদের মাইনে।

জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা সহ পাঁচ জেলায় বাসচালক–কন্ডাক্টরদের বেতন ব্যবস্থা চালু নিয়ে‌ আলোচনা চলছে। ‌স্বাধীনতা দিবসের পর এ নিয়ে ফের এক দফা আলোচনায় হতে পারে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে।ক্ষুব্ধ তপনবাবুর বক্তব্য, "সরকরি বাসে ১২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। আমাদের লোকসান হলে ৪২,০০০ গাড়ির ভর্তুকি কে দেবে? ব্যবসা লাটে উঠে যাবে। সরকার আবেগ নিয়ে চলছে। কোনও সচেতনতা বাড়াব না, পরিকাঠামো থাকবে না, তা হতে পারে না।"