থানার সামনে মধুচক্রের আসর থেকে উদ্ধার ১৬ ছাত্রছাত্রী


সিউড়ি: থানার সামনে লজের মধ্যেই চলচিল মধুচক্র। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালাল পুলিশ। উদ্ধার হল ওই ঘটনায় জড়িত ১৭ জনকে। যাদের মধ্যে ১৬ জনই স্কুল-কলেজের পড়ুয়া।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার সিউড়িতে। বৃহস্পতিবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া লজে অভিযান চালায় সিউড়ি থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে যৌনতায় লিপ্ত আট যুগলকে। যাদের সকলেই পড়ুয়া। একই সঙ্গে আরও একজন বিবাহিত মহিলাকেও পাকরাও করেছে পুলিশ।

ধৃতদের কেবলমাত্র আটক করা হয়েছে নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি সিউড়ি থানার পুলিশ। যে লজে ওই কুকর্ম চলছিল সেই লজের দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বেপাত্তা লজের মালিক মুকুন্দ মণ্ডল।

এদিনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পিছনে রয়েছে অন্য এক বড় কাহিনী। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের সঙ্গে আরও কয়েকজনের ওই লজের যাওয়ার কথা ছিল। যাদের সকলের উদ্দেশ্য ছিল লজের মধ্যে একান্তে সঙ্গির সঙ্গে সময় কাটানো। কিন্তু সেই দলের ১৬ জন অনেক আগেই পৌঁছে যায় সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের পাশের সেই লজে। এতেই চটে যায় দলের বাকি সদস্যেরা। তারাই খবর দেয় সিউড়ি থানার পুলিশকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আটক করা হয়েছে আট যুগলকে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে লজের মধ্যে এই মধুচক্রের আসর চলছিল তার উল্টোদিকেই রয়েছে সিউড়ি মহিলা থানা। স্থানীয়দের অভিযোগ, লজের মধ্যে অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে পুলিশকে অনেক বার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, "লজ থেকে নামলেই সামনেই মহিলা পুলিশের থানা। বারেবারে অভিযোগ জানিয়েও পুলিশ তাদের ধরেনি। অথচ প্রতিদিন দিনের বেলা ঘন্টা পিছু ভাড়া দিচ্ছে।পুলিশ এবারও পদক্ষেপ না নিলে স্থানীয় বাসিন্দারা এবার নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেবে।"

কিছুদিন আগে সিউড়ি হাটজনবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মধু চক্রের যদিশ পেয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে ৬ জন মহিলা সহ ২ জন যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আবারও এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সিউড়ি শহর জুড়ে।