গলা খুসখুস? গলা ব্যথা? বাড়িতে বানানো এই পাঁচটি পানীয়ে আরাম পাবেনই


বর্ষার বৃষ্টি তো শুরু হয়েই গিয়েছে, রোজ সকালে ঘুম ভেঙেই গলা খুস খুস, আর ধরা গলা নিয়ে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন নিশ্চয়? ভাইরাস বা জীবাণু সংক্রমণের জন্য আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমস্যার মুখে পড়ে। তারই একটি অংশ হিসেবে আমাদের গলা খুসখুস, গলা ধরা ইত্যাদি বিরক্তিকর বিষয়গুলির সম্মুখীন হতে হয়। গলায় আমাদের যে শ্লেষ্মা ঝিল্লি থাকে তার প্রদাহ হয়, ফুলে ওঠে এবং ব্যথাও শুরু হয় এই কারণেই। ঠান্ডা লাগা, জ্বর, অ্যালার্জি, দূষণকারী ধোঁয়া, গলার শুষ্কতা এবং গলার পেশীতে চাপ দিয়ে জোরে কথা বলার কারণেও আমাদের এমন সমস্যা হতেই পারে। এর সাধারণ উপসর্গগুলি হল, গলায় ব্যথা, গিলতে অসুবিধা, গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া, টনসিল লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।ঘরেই তৈরি কিছু উপাদানেই সারতে পারে এই সমস্যা। তবে, যদি বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে কিন্তু অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

গলার সমস্যা থেকে ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি চাইলে  কয়েকটি উষ্ণ আরামদায়ক পানীয় বাড়িতেই বানিয়ে নিলে কিছুটা আরাম পেতে পারেন।


1. হলুদ দুধ
ডাঃ বসন্ত ল্যাডের লেখা 'দ্য কমপ্লিট বুক অব আয়ুর্বেদিক হোম রেমিডিস' অনুযায়ী আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো যদি এক কাপ গরম দুধে মিশিয়ে খান, আরাম পাবেন। এর সাথে ইচ্ছে হলে একটু ঘিও মেশাতে পারেন।

গলার ব্যথা থেকে বাঁচতে হলুদ দুধ খান

2. আদা-দারুচিনি-যষ্ঠীমধু চা
দু'টুকরো আদা নিন। দু'টুকরো দারুচিনি আর তিন চামচ যষ্ঠীমধু নিয়ে মিশিয়ে নিন। একগ্লাস জলে এই মিশ্রণটি এক চামচ দিয়ে প্রায় 5 থেকে 10 মিনিট রেখে দিন। দিনে তিনবার করে খান।

3. আদা চা
আদা এমন একটি মশলা যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে যার গলে গলা ব্যথা থেকে রক্ষা পাবেন আপনি। দুধ চায়ে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। আরও ভালো হয় যদি গরম জলে আদা সেদ্ধ করে নিয়ে সেই জল সামান্য মধু মিশিয়ে খেদতে পারেন।

আদা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং প্রদাহীবিরোধী


4. পিপারমিন্ট চা
পিপারমিন্ট চা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং গলায় আরাম দেয়। এটি কিছু সময়ের জন্য গলা অসার করে দেয় বলে ব্যথাও কম হয়। তিন থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য উষ্ণ জলে তাজা পিপারমিন্ট পাতা ফেলে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর পাতাগুলি ছেঁকে ফেলে দিলেই রেডি।


5. ক্যামোমিল চা
ক্যামোমিল চা বহুকাল ধরেই চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই চা খেলে ঘুমও ভালো হয়, অনেক দিনের কাশি সারাতেও এই চা উপকারী। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান থাকায় এই চা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আরাম পেতে দিনে অন্তত দু'বার এই চা খেয়ে দেখুন।

ক্যামোমিল চা বহুকাল ধরেই চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে