হস্তশিল্প সম্মেলনে ১১৩ কোটির বিদেশি বরাত; রাজ্যের ঘোষণা ২ লাখ কর্মসংস্থান


কলকাতা : ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্মেলন থেকে ১১৩ কোটি টাকার বিদেশি বরাত পেল বাংলার হস্তশিল্প। নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দু'দিন ব্যাপী সম্মেলন চলছিল। সেই সম্মেলনে চিন, জাপান, নেদারল্যান্ড সহ বেশ কয়েকটি দেশ গ্রাম-বাংলার হস্তশিল্পে বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে।

গ্রাম বাংলার হস্তশিল্পকে বিশ্বমানের করতে আগেই উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পীদের তুলে আনতে নানারকম অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার সুবিধা ছাড়াও গ্রাম বাংলার হস্তশিল্পের মানোন্নয়নের জন্য আরও অনেক সুবিধা প্রদান করেছে রাজ্য সরকার। এসবের পাশাপাশি গ্রাম বাংলার হস্তশিল্পকে আরও সুবিধা দিয়ে উন্নত করে তুলতে দু'দিনের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওই সম্মেলন শুরু হয়েছিল সোমবার। গতকাল ছিল শেষ দিন। এখানে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র গ্রাম বাংলার প্রান্তিক শিল্পীদের সরকারি সুবিধা প্রদানের কথা তুলে ধরেন। বলেন, "ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিস্তার ঘটাতে বর্তমান সরকার সচেষ্ট। এই সরকার সাত বছরের মেয়াদকালে মোট ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ আর্থিক বছরে ঋণ দেওয়া হয়েছে ৪৪ হাজার কোটি টাকা। সামনের দু'বছরের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে সরকার। দুই হাজার একর জমির উপর ৩০টি শিল্প পার্ক হবে।" বানতলায় একটি লেদার কমপ্লেক্স হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এই কমপ্লেক্সের বিষয়ে বলেন, "ইতিমধ্যেই সেখানে প্রায় দেড় লাখ মানুষ কাজ করছেন। আরও দু'লাখ বেকার যুবক-যুবতির কর্মসংস্থান ঘটবে। এই লেদার কমপ্লেক্সে বরাদ্দ হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।"

অর্থমন্ত্রী আরও জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিস্তারে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সম্মেলন শুরুর দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে। সেইমতো সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতি সোমবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের আধিকারিকরা জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে।