কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ, বেধড়ক পিটিয়ে খুন


থানে : মা-বাবা কোনও এক কাজে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। আর দিদিও বেশ কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই বিকৃত মানসিকতার শিকার হল ১৪ বছরের এক কিশোরী। প্রথমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর বেধড়ক পিটিয়ে চৌবাচ্চায় ডুবিয়ে খুন করা হয়। মহারাষ্ট্রের বুকে ভিওয়ান্ডিতে পাওয়ারলুম টাউন এলাকায় এই নৃশংসতার ছবি সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের এই ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে এখন আতঙ্কের ছায়া। কে বা কারা এই জঘন্য কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা পুলিস এখনও জানতে পারেনি। তবে নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে একের বেশি দুষ্কৃতী জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। থানে পুলিসের মুখপাত্র সুখদা নারকর বলেন, ঘটনার সময় ওই কিশোরী বাড়িতে একাই ছিল। সন্ধ্যাবেলা কিশোরীর দিদি বাড়িতে ফিরে বোনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতিতার মা-বাবা বাড়ি ফিরলে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পুলিস নারপোলি থানায় এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৩০২ (খুন) ধারায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও মধ্যপ্রদেশের পর এবার বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রেও মেয়েদের নিরাপত্তা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন হল। বিকেলবেলা ঘরে ঢুকে কিশোরীকে এক বা একাধিক দুষ্কৃতী ধর্ষণ ও খুন করে পালাল। এই ঘটনায় গোটা ভিওয়ান্ডির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবারের নারকীয় এই ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিস এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় প্রশাসনিক উদ্যোগ নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।