পর্নোগ্রাফি দেখায় ও অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হত! চতুর্থ অভিযোগে জানা গেল ভয়ঙ্কর তথ্য


জোর করে দেখানো হত পর্নোগ্রাফি দেখতে। সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক গড়তে বাধ্য করা হত। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সরকারি হস্টেলের ডিরেক্টর অশ্বিনী শর্মার নামে শনিবার চতুর্থ অভিযোগ এসেছে । দায়ের হয়েছে আরও একটি এফআইআর। গত বৃহস্পতিবার এক মুক ও বধির আদিবাসী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সেই খবর প্রকাশিত হতেই একে একে মুখ খুলছেন ওই হস্টেলের মেয়েরা। শনিবার এরকম চতুর্থ অভিযোগ এসেছে অশ্বিনী শর্মার নামে। তিনি জানিয়েছেন অশ্বিনীর সেইসব বিকৃত আবদার না মানতে চাইলেই চলত অকথ্য অত্যাচার। বন্দী করে রাখা হযেছিল তাঁদের। শুধু সেই নয়, আরও অনেক মেয়ের উপরই অশ্বিনী এরকম অত্যাচার চালাতেন বলে জানিয়েছে সে। এতদিন ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি।

রবিবার ডিআইজি হরিনারায়ণাচারী মিশ্র জানিয়েছেন, মেয়েটি ইন্দোরের হীরানগর থানায় অভিযোগ জানায়। কেস ডায়েরিটি ভোপালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অশ্বিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি জানিয়েছিলেন ১৯ বছরের এর মুক ও বধির আদিবাসী যুবতী। পুলিশ জানিয়েছে অশ্বিনী তাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেও বাকিদের উপর অত্যাচার চালানোর বিষয়টি এখনও মেনে নেয়নি।

নয়া অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতী প্রথমে ফোনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁকে বলা হয় ইন্দোরের থানায় অভিযোগ দায়ের করতে। কারণ তার কাছাকাছি এলাকাতেই তিনি থাকেন। অভিযোগে ওই মেয়েটি জানিয়েছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮-র ফেব্রুয়ারি অবধি হস্টেলে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ চালিয়েছে অশ্বিনী।

এই মেয়েদের মতো নিজে থেকে এগিয়ে এসে অভিযোগ না করলেও পুলিশ ওই হস্টেলের রেজিস্টার মিলিয়ে গত তিন বছরে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সব মেয়েকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে। অভিযোগ থাকলে, তৎক্ষণাত তা নথিভুক্ত করা হবে। অশ্বিনী শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব অভিযোগ গুলি একজায়গায় করে তদন্ত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ওই হস্টেলের ভবনটি যিনি ভাড়া দিয়েছিলেন, এই ঘটনায় তাঁর কোনও সংযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।