পণের টাকা জোগাড় করতে না পেরে মেয়েকেই খুন বাবার


নন্দ কিশোরের মানসিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। আসলে টান পড়েছিল পকেটে। অর্থাভাবে কথায় কথায় মেজাজ হারাচ্ছিলেন তিনি। শেষ অবধি যে নিজের বিবাহযোগ্যা মেয়েকে খুন করে বসবেন তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। মঙ্গলবার ভোরে ছোট মেয়ে কবিতাকে গলায় সাইকেলের তার পেঁচিয়ে খুন করেন নন্দ কিশোর নামে বছর ৫৫-র সাইকেল মেকানিক। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সঙ্গম বিহার এলাকায়। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে নন্দর সংসার ছিল। অভাব থাকলেও স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই ছিলেন। তবে অনেক কষ্টে বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরে বাকী দুই মেয়ে সুমন (২৪) ও কবিতার বিয়ের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি।

এই নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। সামান্য সাইকেল মেকানিক তার সংসারের টাকা জোগাবেন নাকি মেয়ের বিয়ে দেবেন তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। সোমবার রাতে এসব নিয়ে ঝগড়া সপ্তমে ওঠে। মঙ্গলবার ভোরে সাড়ে ৫টা নাগাদ ছোট মেয়ে কবিতাকে খুন করেন নন্দ। স্ত্রী ও আর এক মেয়ে সুমনের উপরেও ঝাঁপিয়ে পড়েন। সুমন বেঁচে গেলেও স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

মঙ্গলবার সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়েদের আক্রমণ করেন নন্দ। ছেলে এসে আটকালে মেজ মেয়ে সুমন বেঁচে যান। তবে ছোট মেয়ে কবিতা খুন হন। নন্দর স্ত্রী-ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নন্দ নিজের মনে থাকতেন। ছোটখাটো ব্যাপারে সংসারে অশান্তি করতেন। খাবারের স্বাদ, নুন কম-বেশি হওয়া নিয়ে হট্টগোল বাঁধাতেন। এসবের পিছনে যে অর্থের অভাবই প্রধান কারণ ছিল তা প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে।