'সেক্সে নাবালিকার সম্মতি-অসম্মতির কোনও ফারাক নেই, সবই ধর্ষণ!'


যৌন মিলনের ক্ষেত্রে নাবালিকার সম্মতিটা কোনও সম্মতিই নয়। তা কোনওভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। মত মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের। 

এক শিশু ধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল সিওনি জেলার বিশেষ আদালত বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত সুরজ প্রসাদ দেহারিয়াকে। মূলত ধর্ষিতার মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় দিয়েছিল আদালত। রিপোর্টে ধর্ষিতার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ঘটনার সময় সে চিত্‍‌কার করে বাঁচারও চেষ্টা করেনি। এতে নিম্ন আদালতের মনে হয়, সেটি সম্মতিক্রমে যৌনমিলনের ঘটনা, ধর্ষণ নয়। 

রাজ্য সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে রিভিশন পিটিশন করলে মুখ্য বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি ভিকে শুক্লার বেঞ্চ আগের রায়কে খারিজ করে দেয়। বিচারপতি বলেন, স্কুলের রেজিস্টার বছরে মেয়েটির বয়স ১৪ বছরের কম। সে যদি যৌনমিলনে সম্মতি দিয়েও থাকে, তবু তাকে সম্মতিক্রমে যৌনমিলন হিসেবে গৃহীত হবে না। বিচারপতির কথায়, '...এই ধরনের ক্ষেত্রে সম্মতি গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিচেচিত হবে না।'