চাকদহে নিখোঁজ ছাত্রী খুন, দেহে নৃশংসতার চিহ্ন


বারাকপুর: চাকদহ থানার আলাইপুর বেলতলার নিখোঁজ একাদশ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে নারকীয় অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। সোমবার ধনিচা থেকে বস্তাবন্দি একটি অজ্ঞাতপরিচয় দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই তদন্তে নেমে পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বর্ষা দাস (১৭)। সে মদনপুর কেন্দ্রীয় আদর্শ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। টিউশন পড়তে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে দু'দিন পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। সোমবার বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে পুকুরের ধার থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, পরিবার খুনের মামলা রুজু করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষারা ছ'বোন, এক ভাই। বর্ষা সব থেকে ছোট। বাকি চারজনের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তারও বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সে টিউশন পড়তে যায়। রাত পর্যন্ত না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এমনকী যেখানে টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা ছিল সেখানেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে সেদিন পড়তেই যায়নি। সোমবারই পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ডায়েরি করতে থানায় গিয়েছিলেন। তখনই ধনিচা থেকে দেহ উদ্ধারের খবর আসে। বস্তার ভিতরে ব্যাগে ওই ছাত্রীর নাম লেখা ছিল। পরে, মর্গে গিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে চিহ্নিত করেন।

পুলিস জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর কান, যৌনাঙ্গ, বুকে কাটা রয়েছে। এছাড়া শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের নৃশংস অত্যাচার করার চিহ্ন রয়েছে। ওই ছাত্রীর জামাইবাবু উত্তম সরকার বলেন, আমাদের আশঙ্কা, টিউশন যাওয়ার পথে ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে।