নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল ব্যক্তিকে


মাদারিহাট : ৬ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। তাই এক ব্যক্তিকে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ও মুখে চুনকালি মাখিয়ে গণধোলাই দিয়ে হাটের মধ্যে ঘোরালেন গ্রামবাসীরা। বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে পরিতোষ বর্মণ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এরপরই গতকাল দুপুর ২টো নাগাদ আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকের টোটোপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। পরে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। মাদারিহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সুনীল রায় জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আজ অভিযুক্তকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিতোষ বর্মণ এলাকার হাটে হাটে গালামাল বিক্রি করে। গতকাল টোটোপাড়ার সাপ্তাহিক হাট ছিল। সেই সূত্রেই সেখানে যায় পরিতোষ। সেখানে এক নেপালি পরিবারে নিজের জিনিসপত্র রাখে। সেই পরিবারেরই সদস্য ওই নাবালিকা।

পরিবার সূত্রে খবর, দুপুর ১টা নাগাদ নাবালিকাকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে কোলে নিয়ে হাটে যায় পরিতোষ। হাটে যাওয়ার পথে এক নির্জন জায়গায় নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত। পরে তাকে ছেড়ে দেয়। নাবালিকাটি বাড়িতে ফিরে এলে মা তাকে স্নান করাতে নিয়ে যান। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, নাবালিকার যৌনাঙ্গ থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এরপরই মেয়ের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে হাটে গিয়ে অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। ওই মহিলার মুখ থেকেই পুরো বিষয়টি জানতে পারেন হাটের ক্রেতা- বিক্রেতারা। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে গণধোলাই দেন। এরপরই অভিযুক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। 

তখন তার গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ও মুখে চুনকালি মাখিয়ে গণধোলাই দিয়ে ঘোরানো হয় পুরো হাট চত্বর। খবর পেয়ে মাদারিহাট থানার পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে। আজ পুলিশ নাবালিকাকে মেডিকেল চেকআপের জন্য আলিপুরদুয়ারে নিয়ে আসবে।