আমরা বাংলাদেশে ঢুকলে কি থাকতে দেবে? মিছিল থেকে প্রশ্ন সংখ্যালঘু বিজেপি নেতার


বৃহস্পতিবার কলকাতায় মিছিল করে এ রাজ্যে এনআরসি-র দাবি তোলা হল রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে।

অসমের মতো জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চাই বাংলাতেও— এই দাবি তুলে এ বার পথে নামল বিজেপি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় মিছিল করে এ রাজ্যে এনআরসি-র দাবি তোলা হল রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে। শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে সওয়াল করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, বলল রাজ্য বিজেপি।

দেশপ্রিয় পার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এ দিন বিজেপি মিছিল করেছে। যুব মোর্চা এবং মহিলা মোর্চার ব্যানারে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদাররা মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন। ছিলেন রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেনও। বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদের এ দেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে যে অবস্থান বিজেপি নিয়েছে, সে প্রসঙ্গে আলি হোসেন বললেন, ''১০০ শতাংশ ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-ক্রিস্টানদের ধর্মীয় সঙ্কট রয়েছে। তাঁরা শরণার্থী হিসেবে এ দেশে আসছেন। কিন্তু মুসলিমদের তো সে দেশে কোনও সঙ্কট নেই। দিনের পর দিন তাঁদের অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া যায় না।'' বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার নেতার প্রশ্ন, ''আমরা যদি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ গিয়ে থাকতে চাই, আমাদের কি ওঁরা আশ্রয় দেবেন? কিছুতেই দেবেন না। অনুপ্রবেশকারী বলে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।''

হাজরা মোড়ে পৌঁছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা এ দিন অবস্থান শুরু করেন। দলের রাজ্য নেতৃত্ব সেখানে ভাষণ দেন। ভাষণ দেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। বাংলায় এনআরসি তৈরির দাবি জোর দিয়ে তোলেন লকেট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে লকেটের কটাক্ষ, ''সর্বাগ্রে কালীঘাটে এনআরসি চালু করতে হবে।''
 
বিজেপির এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ফেরার পরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই বেরিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিডিয়ার মুখোমুখি হন। সেখানেই বিজেপির মিছিল এবং এনআরসি সংক্রান্ত দাবি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, ''ওরা কে ভাই? ওরা কারা ভাই? কী গুরুত্ব আছে ওদের?'' তীব্র বিরক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''নিজেদেরই সব ঠিক নেই, এখানে এনআরসি করবে! হাত দিয়ে দেখুক।''