মহালয়ার পরেই চালু হতে পারে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক


পিতৃপক্ষের অবসানের পরে শুরু হতে পারে 'আকাশপথে' হাঁটাচলা!

এ বার দুর্গাপুজোর আগেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। কর্তাদের দাবি, ''শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ বাকি। প্রকৃতি বিরূপ না হলে আগামী এক মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে।'' তার পরেই দেবীপক্ষে ভাল দিন দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই 'আকাশপথ'-এর উদ্বোধন করবেন বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর।

দক্ষিণেশ্বর রেল স্টেশনের সামনে থেকে শুরু হয়ে রানি রাসমণি রোড ধরে মন্দিরের সিংহদুয়ার পর্যন্ত গিয়েছে ৩৭০ মিটার লম্বা এবং ৯.৭ মিটার চওড়া স্কাইওয়াক। বছর তিনেক আগে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা এখনও শেষ হয়নি। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথমে রাস্তার দু'ধার থেকে হকার উচ্ছেদ করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরে পাইলিংয়ের কাজ করতে গিয়ে ভারী বর্ষার কবলে পড়ে কাজে বিলম্ব হয়। এর পাশাপাশি পোস্তার উড়ালপুলের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দক্ষিণেশ্বরের এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে কেএমডিএ। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ''কাজের খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখা হয়েছে। যাতে কোনও ফাঁক না থাকে।''

নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রের খবর, গম্বুজাকৃতি কাঠামোয় পলিকার্বন শিট লাগানোর কাজও শেষ পর্যায়ে। সেতুর নিচে গার্ডরেল বসানো, ফুটপাথে ও মোটরবিহীন গাড়ি চলাচলের রাস্তায় পেভার ব্লক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। সবক'টি লিফট বসানো হলেও এখনও ৩টি চলমান সিঁড়ি বসানোর কাজ বাকি রয়েছে। কেএমডিএ-র এক কর্তা বলেন, ''অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও যাতে ঠিকঠাক থাকে সে দিকেও বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।'' স্কাইওয়াকের সামনে ছোট একটি গোলাকৃতি বাগানেও সৌন্দার্যায়নের কাজ হবে বলেই জানান ওই কর্তা। সব শেষে তৈরি করা হবে স্কাইওয়াকের নিচের রাস্তা।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, প্রতি বারই তো নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়ে যাচ্ছে? এ বারও তেমন হবে তো? এক কর্তার কথায়, ''এ বার বোধ হয় আর দেরি হবে না। মূল কাঠামোর কাজ তো শেষ। এখন টুকটাক কাজগুলি করতে যেটুকু সময় লাগবে। তার পরে ভাল দিন দেখে উদ্বোধন করা হবে স্কাইওয়াকের।''