চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য

বারাসত: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সল্টলেকের এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস করার অভিযোগে আমডাঙার বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বিজেপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। রবিবার দুপুরে পুলিস ওই সদস্যকে গ্রেপ্তার করতেই বিজেপি নেতৃত্ব রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে।

তাদের অভিযোগ, আগামী বুধবার বোদাই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন রয়েছে। সেখানে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিরোধীরা একজোট হয়ে যাতে কোনওভাবে বোর্ড গঠন করতে না পারে, তার জন্যই বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূল ওই সদস্যকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। যদিও বিজেপির তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম অলোক কাহার। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫টি আসন। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচটি, সিপিএম চারটি, নির্দল চারটি এবং অলোক কাহারকে নিয়ে বিজেপি দু'টি আসনে জয়লাভ করেছে। ওই পঞ্চায়েতে কারা বোর্ড গঠন করবে তা নিয়েই এখন জল্পনা চলছে। বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অরুণ ব্রহ্ম বলেন, ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই আমরা বিরোধীরা সকলে মিলে সেখানে তৃণমূল বিরোধী পঞ্চায়েত গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। অলোক কাহার তার নেতৃত্বে ছিলেন। তৃণমূল ওকে নানা প্রলোভন দেখিয়েও কিনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করাল। শাসকদল নোংরা রাজনীতি করছে।

আমডাঙার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা আমডাঙার বিদায়ী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নবীন মাইতি বলেন, বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের দলীয় প্রতীকে পাঁচজন জিতেছিলেন। যে চারজন নির্দল জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমাদের দলের একজন নির্দল প্রার্থী ছিলেন। ফলাফল প্রকাশের পরই তিনি দলে আসেন। তাই প্রথমেই আমাদের ছটি আসন হয়ে যায়। আরও দু'জন নির্দল সদস্য আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। ফলে, বর্তমানে আমাদের আটজন সদস্য হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, বিজেপি নিজেদের দলের নেতা-কর্মীদের 'কলঙ্ক' মোছার জন্য আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। পুলিস আইন মোতাবেক কাজ করেছে। এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই।