শহরের এটিএম-এ উদ্ধার স্কিমার! ভুক্তভোগী গ্রাহক জানাচ্ছেন, কী ভাবে সচেতন হওয়া উচিত


এটিএম-এ স্কিমার আতঙ্ক এবার কসবায়। কসবার বকুলতলার বাসিন্দা সৌম্যব্রত সেন রবিবার বিকেলে বাড়ির কাছেই থাকায় ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্কের এটিএম-এ টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। সেখানে তা সন্দেহজনক মনে হয়। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবক। পরে এটিএমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।


কসবা বকুলতলা মোড়ের বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম। এলাকার ব্যস্ত এটিএমগুলির মধ্যে অন্যতম। রবিবার বিকেলে সেখানেই টাকা তুলতে গিয়েছিলেন, স্থানীয় যুবক সৌম্যব্রত সেন। সেখানেই এটিএম-এর কি প্যাডের ওপরে চোখ যায় তাঁর। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সেটিতে টান দেন। আঠা খুলে বেরিয়ে আসে সেটি। সেখানেই ক্যামেরা লাগানো ছিল বলে দাবি ওই যুবকের। একই সঙ্গে যেখানে কার্ড ইনসার্ট করতে হয়, সেখানে একটি ডিভাইস লাগানো ছিল বলে দাবি ওই যুবকের।

ওই যুবক যেমন, নিজে কসবা থানায় বিষয়টি জানান, ঠিক তেমনই তাঁর ঠিক আগেই টাকা তুলে যাওয়া ব্যক্তিকে নিয়েও থানায় যান। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় কসবা থানার পুলিশ। যন্ত্রটি স্কিমার কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।

পরে কসবা থানা মারফত বিষয়টি লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের কাছেও যায় বলে জানা গিয়েছে। ওই এটিএম-এর সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে ব্যাঙ্ক প্রতারণা কাণ্ডে ধৃত রোমানিয়ার দুই যুবক ছিল কসবাতেই। ফলে তদন্তের জন্য কলকাতায় আনা দুই রোমানীয় যুবক এই ঘটনায় যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কসবার যুবক সৌময্ব্রত সেন নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন কী ভাবে সতর্কতা নেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, শপিং মল হোক হিংবা ব্যাঙ্কের এটিএম, যখন পিন নম্বর দেওয়া হচ্ছে, তখন তা একটু আড়াল করে দেওয়াটাই ভাল। আর যেখানে কার্ড ঢোকানো হচ্ছে সেখানে একটু নাড়িয়ে দেখে নেওয়াটাই ভাল।