এ বার কি ১৭ পুরসভাতেও প্রশাসক বসাবে রাজ্য সরকার?


চলতি বছরে রাজ্যের ১৭ পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু সেগুলির ভোট কবে হবে, তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এখনও স্পষ্ট কোনও অবস্থান জানায়নি রাজ্য সরকার। তাতেই চর্চা শুরু হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও কি প্রশাসক বসিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভা চালাবে রাজ্য সরকার!

উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের ১১টি  পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবরে। আর নভেম্বরে শেষ হবে গুসকরা পুরসভার মেয়াদ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে কিছু দিনের জন্য হলেও প্রশাসক বসাতে হবে। তা না-হলে ২০১৩ সালের মতো সেপ্টেম্বরে ভোট করাতে হত। কিন্তু কার্যত তার সম্ভাবনা নেই। তবে হাওড়া-সহ পাঁচটির মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হবে। এই পরিস্থিতির পিছনে বিরোধীরা অবশ্য সরকার পক্ষের 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্য' দেখছে। তাদের মতে, ফল নিয়ে নিশ্চিত হতে না পারায় নির্বাচনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা অবশ্য বলেন, ''যে সময় পুরসভাগুলির মেয়াদ শেষ হবে, তখন উৎসবের মরসুম। ভোট করা সম্ভব নয়।'' শাসক শিবিরের মতে, নতুন বছরে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণের সঙ্গে সাযুজ্য রাখার কথাও ভাবতে হচ্ছে।

১৭ পুরসভায় ওয়ার্ড সংরক্ষণ এবং ডিলিমিটেশনের বিষয়ে মে মাসের শেষে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সরাসরি তা নিয়ে না জানালেও কিছু দিন আগে কমিশনকে হাওড়া, বালুরঘাট, কৃষ্ণনগর বাদে বাকি ১৪টি পুরসভায় ২০১৩ সালের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ওয়ার্ড নম্বর একই থাকছে বলে জানিয়েছে রাজ্য। ফলে দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে ওই ১৪টি পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য সপ্তাহ দু'য়েক আগে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তা প্রকাশিত হওয়ার কথা ২৮ অগস্ট। ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার জন্য নির্ধারিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন থেকে দশ সপ্তাহের আগে কোনও ভাবে নির্বাচন করা যায় না। ফলে নভেম্বরের মাঝামাঝি ছাড়া কোনও ভাবেই নির্বাচন করানো কার্যত সম্ভব নয়।
কৃষ্ণনগরে ওয়ার্ডের নম্বর বদলানোর পাশাপাশি বালুরঘাট পুরসভার সঙ্গে নতুন এলাকা সংযুক্ত হচ্ছে। সে কথা কমিশনকে জানালেও তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে রাজ্যকে। এখনও তা প্রকাশ করেননি রাজ্য। ১৪টি পুরসভা নিয়ে রাজ্য কিছুটা এগোলেও হাওড়া পুরসভা সম্পর্কে কমিশনকে পাঠানো চিঠি নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি তারা। দলের এক নেতার মন্তব্য, ''চলতি বছরে হাওড়ায় ভোট হওয়ার সম্ভাবনা কম।''