সেদ্ধ চালে আর্সেনিক ঢুকছে শরীরে


চলছে ধান সেদ্ধ করার প্রক্রিয়া।

আতপ চাল নয়, বাঙালির প্রথম পছন্দ সেদ্ধ চালের ভাতই। কিন্তু শুধুমাত্র গাইঘাটা, দেগঙ্গা, বসিরহাটের মতো আর্সেনিক কবলিত ব্লকগুলিই নয়, কলকাতা থেকে কোচবিহার, সেই সেদ্ধ চালই হয়তো আপনার অজান্তে ডেকে আনছে আর্সেনিকের বিপদ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে উঠে আসছে এই তথ্য। সেই গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, আতপ চালের তুলনায় ২০৫% বেশি আর্সেনিক মিলছে সেদ্ধ চালে। যা থেকে শুধুমাত্র ভাতই নয়, খই, মুড়ি, চিড়ের মতো খাবারগুলিও তৈরি হয়। এই তথ্য সামনে আসায় দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানী মহল।

আতপ চাল নয়, বাঙালির প্রথম পছন্দ সেদ্ধ চালের ভাতই। কিন্তু শুধুমাত্র গাইঘাটা, দেগঙ্গা, বসিরহাটের মতো আর্সেনিক কবলিত ব্লকগুলিই নয়, কলকাতা থেকে কোচবিহার, সেই সেদ্ধ চালই হয়তো আপনার অজান্তে ডেকে আনছে আর্সেনিকের বিপদ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে উঠে আসছে এই তথ্য। সেই গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, আতপ চালের তুলনায় ২০৫% বেশি আর্সেনিক মিলছে সেদ্ধ চালে। যা থেকে শুধুমাত্র ভাতই নয়, খই, মুড়ি, চিড়ের মতো খাবারগুলিও তৈরি হয়। এই তথ্য সামনে আসায় দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানী মহল। 

এ রাজ্যে এই প্রবণতাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, রাজ্যের ৩৪১টি ব্লকের মধ্যে ১০৮টি ব্লকের ভূগর্ভস্থ জল আর্সনিক কবলিত। অর্থাৎ রাজ্যের তিন ভাগের এক ভাগ ব্লকেই আর্সেনিকের সমস্যা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলি, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতেই আর্সেনিকের প্রকোপের ফলে ধানে আর্সেনিকের সংক্রমণ বাড়ছে। সেই এলাকার উৎপাদিত চাল বা সব্জি যখন পৌঁছচ্ছে রাজ্যের অন্য প্রান্তেও, তখন তা থেকে আপাত ভাবে নিরাপদ এলাকার মানুষের শরীরেও আর্সেনিক সংক্রমণের বাস্তব আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

কী তথ্য উঠে আসছে গবেষণাটিতে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অধিকর্তা অধ্যাপক তড়িৎ রায়চৌধুরীর দাবি রাজ্যের অন্যতম আর্সেনিকপ্রবণ দেগঙ্গা ব্লক থেকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, আতপ চালের ৭৫% নমুনায় আর্সেনিকের পরিমাণ গড়ে প্রতি কেজিতে ৬৬ মাইক্রোগ্রাম। বাকি ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রে তার পরিমাণ প্রতি কেজিতে ১০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। সেখানে সেদ্ধ চালের নমুনাগুলিতে প্রতি কেজিতে গড়ে ১৮৬ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক মিলেছে। সেদ্ধ চালের ৮২ শতাংশ নমুনায় আর্সেনিকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ১০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। বাকি ১৮% নমুনায় তার পরিমাণ কেজিতে ১০০ মাইক্রোগ্রামের কম।