মোদীকে খুনের ছক! ধৃত ভারাভারা, আরও চার

গ্রেফতারের পরে ভারভারা রাও।  মঙ্গলবার হায়দরাবাদে।


প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা এবং মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে বর্ষীয়ান অধ্যাপক ও কবি ভারাভারা রাওকে গ্রেফতার করল পুণে পুলিশ। একই সঙ্গে মুম্বই, দিল্লি, ফরিদাবাদ, রাঁচী ও গোয়ায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে পুণে পুলিশ আরও চার সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এঁদের মধ্যে ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে। অরুণ ফেরেরা ও ভার্নন গঞ্জালভেসকে মুম্বই এবং গৌতম নওলাখাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাঁচীতে সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর বাড়িতে হানা দিয়ে প্রচুর কাগজপত্র, ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ ও সিডি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।  নজিরবিহীন এই ঘটনার নিন্দায় মুখর হয়েছেন অরুন্ধতী রায়, রামচন্দ্র গুহ-সহ অসংখ্য বিশিষ্ট জন।
১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিত বিজয়দিবস অনুষ্ঠানে বড় গন্ডগোল হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সেই ঝামেলায় জড়িত ছিলেন ভারাভারারা। তদন্তে নেমে মাওবাদীদের একটি চিঠি পাওয়ার দাবি করে পুলিশ জানায়, তাতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছকের উল্লেখ ছিল। চিঠিতে ভারাভারার নাম রয়েছে।
আজ ভোরে ৭৮ বছর বয়সি ভারাভারার হায়দরাবাদের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। দীর্ঘ তল্লাশির পরে গ্রেফতার করে ওই অধ্যাপককে। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও প্রচুর কাগজ। তল্লাশি চলে তাঁর মেয়ে, ঘনিষ্ঠ দুই সাংবাদিক ও এক অধ্যাপকের বাড়িতে। গ্রেফতারের পরে সেকেন্দরাবাদে গাঁধী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভারাভারার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তার পর তাঁকে পুণে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়ে হায়দরাবাদ নামপল্লি আদালতে তোলে পুলিশ।

বিকেলে কোর্ট রায় দেয়, গাড়ি করে পুণে নিয়ে যেতে হবে তাঁকে। সঙ্গে রাখতে হবে চিকিৎসা ব্যবস্থা। রাতেই তাঁকে নিয়ে পুণে রওনা হয়েছে পুলিশ। সুধা ভরদ্বাজ নিয়ে গোড়ায় পুলিশ কিছু বলেনি। রাতে ফরিদাবাদের সিজেএম-এর বাসভবনে সুধাকে েপশ করলে তাঁকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সুধাকে পুণে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন সিজেএম। গৌতম নওলাখাকে পুণে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিল পুলিশ। ২৯ তারিখ পর্যন্ত সেই আবেদনে স্থগিতাদেশ দিয়ে কোর্ট জানিয়েছে, তাদের কাছে যে নথি রয়েছে, তাতে মামলা দাঁড়ায় না। আদালতের নির্দেশ, আগামী দু'দিন বাড়িতেই থাকতে পারবেন গৌতম। আইনজীবী ছাড়া বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না তিনি।