সোশ্যাল দুনিয়ায় বিজেপিকে টক্কর দিতে ডিজিটাল কনক্লেভ অভিষেকের


কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়াটা ভালো করে করতে হবে৷ সোশ্যাল মিডিয়াটা দেখে নিতে হবে, অভিষেক, ডেরেককে৷ নিজের বক্তব্যে বেশ কয়েকবার এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতন করতে ডিজিটাল কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর নজরুল মঞ্চে৷ প্রধান বক্তা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজনৈতিক পথ পেরিয়ে এসেছেন, সেখানে তাঁর মুখের কথাই কয়েক কোটি জনতার কাছে লড়াই করে বেঁচে থাকার 'অক্সিজেন' ছিল৷ রাস্তা নেমে লড়াই আর লাল শাসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আর প্রতিবাদের ভাষা, আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখিয়েছিলেন বাংলার মানুষকে।

তবে সেদিন ছিল আলাদা। রাজনীতির গতিপথ অন্যদিকে ঘুরেছে। স্মার্টফোন আর Application এ ব্যস্ত মানুষ ফেসবুক, টুইটারে অনেক বেশি সময় কাটায়। ভার্চুয়াল দুনিয়া অনেক কাছে টানে আম জনতাকে। একই সঙ্গে গুরুত্ব কমেছে পড়ার মোড়ের পলিটিক্যাল আড্ডার। এখন যেন ফেসবুক গ্রুপেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

আজকাল পৃথিবীর যেকোনো জননেতাই মানুষের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগযোগ রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করে থাকেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে রাহুল গান্ধী, নরেন্দ্র মোদী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, টুইটারে বা ফেসবুকে কয়েক কোটি মানুষ এদের Follow করেন।

মমতার পরবর্তী প্রজন্মের রাজনীতিবিদ, তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা 27 লক্ষ ছাড়িয়েছে। মাঝে মাঝে টুইটারেই মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি, অনেক সমস্যার সমাধান করেন।

মমতা টুইটার ফলোয়ার ২.৯ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য টুইটারেই পাওয়া যায়।

এক্ষেত্রে ভারতের অনন্য নেতা বা নেত্রীর সঙ্গে তার মিল রয়েছে। তবে দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস অনন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া যুদ্ধে জিততে কর্মীদের এই ধরণের ওয়ার্কশপ খুবই দরকার বলে মনে করেছেন স্বয়ং নেত্রী।

বিশেষ করে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারকে আরো জোরদার করার চেষ্টা করা হবে।

সেই লক্ষ্যেই ডিজিটাল কনক্লেভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দলের এক নেতার কথায়, "মাঠের লড়াইয়ে আমরা অনেক এগিয়ে আছি বিজেপির থেকে। সোশ্যাল দুনিয়াতেও আমরা ওদের জমি ছাড়বো না।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ হাওড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া কনক্লেভে অংশগ্রহণ করেন। দলের কর্মী সমর্থকদের সোশ্যাল দুনিয়ায় আরো সচল হতে বলেছিলেন।

সোশ্যাল দুনিয়াও জনমত নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে পারে, তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে তৃণমূল।