নোটবাতিলের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী, বাজওয়াকে আলিঙ্গন করলে কেন নয়, বিস্মিত শিবসেনা


ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বাজওয়াকে আলিঙ্গন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নভজোত সিং সিধু। এই আচরণকে 'লজ্জাহীনতার চুড়ান্ত' বলে বিধল শিবসেনা। একই সঙ্গে তারা বিজেপিকেও একহাত নিয়ে বলেছে, নোট বাতিলের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী বলা হয়, অথচ সিধুকে কিছুই বলা হল না।

গত শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজোত সিং সিধু। ভারত থেকে ভালবাসার বার্তা নিয়ে এসেছেন বলে, সোই অনুষ্ঠানে পার সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেন সিধু।

এই নিয়েই শিবসেনা সোমবার তাদের মুখপত্রে সিধুর কড়া সমালোচনা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে বাজওয়া কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করেন, তাঁকে আলিঙ্গন করে দেশদ্রোহিতা করেছেন সিধু। বলা হয়েছে, নোট বাতিল বা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেই তাঁকে দেশদ্রোহী বলা হয়। অথচ সিধুর বেলায় তাঁরা চুপ রইলেন। শিবসেনার দাবি মোদী নিজেই যেখানে নওয়াদ শরিফকে আলিঙ্গন করেছেন, সেখানে সিধুর সমালোচনা বিজেপি কিভাবে করবে?

সিধুর এই 'লজ্জাজনক' আচরণ কংগ্রেসের অভ্য়ন্তরীন বিষয় নয়, বরং এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় বলে জানিয়েছে শিবসেনা। তাঁদের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে শোনা যায়। সিধুর পাকিস্তান যাত্রার উপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেত।

ওই একই লেখায় শিবসেনা আরও বলেছে, সিধুর অতই পাকিস্তান প্রীতি থাকলে তিনি এবার থেকে পাকিস্তান থেকেই ভোটে দাঁড়ান। তাদের দাবি, পাকি ভূম থেকে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য নাকি সিধুকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সিধুর এই আচরণে রাহুল গান্ধীর অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ল বলেও দাবি করা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামনা'-তে। তবে সিধুর এই আচরণের জন্য় বিজেপির 'সংস্কার'-এর ত্রুটিকেই দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে সিধু আজ কংগ্রেস দলে থাকলেও রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি বিজেপির সদস্য ছিলেন। কাজেই বিজেপির ভাবার সময় এসেছে, তাদের সংস্কারে কোথায় খামতি থেকে যাচ্ছে।