স্বামীকে বাঁচাতে অন্য পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য হলেন স্ত্রী


আলিপুরদুয়ার: স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে৷ প্রায়ই হুমকি আসত এলাকার এক যুবকের কাছ থেকে৷ সেই যুবক আবার এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত৷ ফলে সেই হুমকিকে ফাঁকা আওয়াজ হিসেবে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যায় না৷

স্বামীকে বাঁচাতে তাই সমঝোতা করতেই হয়েছিল স্ত্রীকে৷ ওই দুষ্কৃতীর সঙ্গে বাধ্য হতে হয়েছিল সঙ্গমে৷ প্রায় চার মাস আগের ঘটনা৷ আলিপুরদুয়ারের কালচিনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল৷
 
নির্যাতিতা মহিলা হয়তো ভেবেছিলেন একবার কোনওরকমে অত্যাচার সহ্য করলেই সুরক্ষিত করা যাবে স্বামীর জীবন৷ কিন্তু তা হয়নি৷ বরং হুমকি বেড়েছিল৷ তাই টানা চারমাস ধরে বহুবার এঞ্জেলেস কুজুরের কাছে ধর্ষিত হতে হয় কালচিনির নিমতি চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন৷ তাঁর দাবি, মাঝেমধ্যে তাঁকেও খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হত৷

মহিলার স্বামীর দাবি, তিনি এই ঘটনার বিন্দুবিসর্গও জানতেন না৷ এতদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হলেও তাঁর স্ত্রীকে তাঁকে কিছুই জানাননি৷ কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা রোজ বাড়তে থাকায় ওই মহিলা সম্প্রতি স্বামীকে সব জানান৷ তার পর কয়েকজনের প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার বিষয়ে মনস্থির করেন৷

সেই মতো তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন৷ তদন্তও শুরু হয়৷ তবে অভিযুক্ত এঞ্জেলেস কুজুর এখনও গ্রেফতার হয়নি৷ যদিও এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন৷ তাঁরা শনিবার নিমতি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখায়৷ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷