ফের একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতা ৷

কলকাতা: ফের একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতা ৷ শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন‍্য সংরক্ষিত আসনে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বেশ কয়েক দফা আইনি জটিলতা কাটিয়ে সম্প্রতি কাউন্সেলিং হয়। মোট শূন্যপদের সংখ্যা ৫ হাজার ৭১২ ৷ এর মধ‍্যে ৮৬টি শূন্য পদ শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত। এই সংরক্ষিত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ম মানেনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ ঘিরেও বিতর্কের শেষ নেই। শুধু আইনি সমস্যাই নয়, পরীক্ষার্থীদের বাল্ক এসএমএস পাঠিয়ে কমিশনের অফিসে ডাকায় নতুন করে বিতর্ক। কোনও নির্দেশিকা ছাড়া কেন এমন এসএমএস? নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কি তা হলে স্বচ্ছতা থাকল? প্রশ্ন নানা মহলে।

ওয়েস্টবেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে পাঠানো বাল্ক এসএমএসে পরীক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, ১৭ অগাস্ট সংশ্লিষ্ট কমিশনের অফিসে, নথি-সহ গিয়ে দেখা করতে। কিন্তু, এসএসসির নিয়ম অনুযায়ী, কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত থাকলে আর ডাকা হয় না। নামও তালিকা থেকে বাদ যায়। এই নিয়মের কথা সম্প্রতি স্পষ্ট করে দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তা হলে এসএসসির চেয়ারপার্সন কেন ফের ডাকার কথা বলছেন? এই বাল্ক এসএমএস পাঠানোর কারণই বা কী? কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত প্রার্থীদের আরেকবার সুযোগ করে দিতে? না কি ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের জন্য? কারণ, যাই হোক না কেন, এ নিয়ে কমিশনের লিখিত নির্দেশিকাই বা কোথায়? বিতর্কের সঙ্গে প্রশ্নও একাধিক কিন্তু উত্তর নেই ৷