সিধু শান্তির দূত, বিতর্ক থামাতে বললেন ইমরান


নয়াদিল্লি: বিতর্ক মিটেও মিটছে না। একদিকে মোদীর চিঠি, অন্য দিকে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নভজ্যোত সিং সিধুর উপস্থিতি --- জোড়া বিতর্কে জেরবার ভারত-পাক সম্পর্ক। সেই বিতর্ক থামাতেই এ বার ময়দানে নামলেন স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সিধুকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর সমালোচকদের বিঁধলেন ইমরান। সেই সঙ্গে কাশ্মীর-সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভারত-পাক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মোদীর চিঠি-বিতর্কেও ইতি টানার চেষ্টা করলেন। সমালোচনার মুখে পড়ে চুপ থাকেননি সিধু নিজেও। পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ইমরানের শপথগ্রহণে যাওয়ার জন্য তাঁর যদি সমালোচনা হয়, তবে আচমকা লাহোর সফরে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেশাত্মবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না কেন? 

গত শনিবার ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন সিধু। সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে বসা এবং পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করার জন্য প্রশ্নের মুখে পড়েন ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। অনেকেই সিধুকে 'দেশদ্রোহী' বলে কটাক্ষ করেন। সে প্রসঙ্গ টেনেই এ দিন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের টুইট, 'সিধু শান্তির দূত। যে সব ভারতবাসী তাঁর সমালোচনা করছেন, তাঁরা শান্তির পথে বড়সড় বাধা।' সিধু নিজেও এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। মাসুদ খানের পাশে বসা প্রসঙ্গে সিধুর বক্তব্য, 'ওরা আমাকে যে আসন দিয়েছিল, সেখানেই বসেছি।' পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন প্রসঙ্গে সিধুর দাবি, ওটা ভাবাবেগের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। পাক সেনাপ্রধান তখন ভারতের ডেরা বাবা নানক থেকে ঐতিহাসিক গুরুদ্বার কার্টারপুর সাহিব অবধি করিডর তৈরির কথা বলছিলেন। তা শুনে ভাবাবেগে আপ্লুত হয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন বলে দাবি সিধুর। পরিচিত ঢঙে তাঁর প্রশ্ন, 'আচমকা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী তো পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আলিঙ্গন করেছিলেন। তা হলে কেউ প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন না কেন?' সিধুর পাক সফরের সমালোচনা করেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। সে ব্যাপারে সিধুর স্পষ্ট বক্তব্য, 'ক্যাপ্টেন আমার সমালোচনা করেছেন বলেই আমাকে তাঁর সমালোচনা করতে হবে, তেমনটা নয়। সকলকে একসঙ্গে খুশি করা যায় না।'

এই পরিস্থিতিতে এ দিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা নিজেই তুলে ধরেন ইমরান। পাক প্রধানমন্ত্রীর টুইট, 'পাকিস্তান ও ভারতের উচিত কাশ্মীর-সহ সব সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া। এশীয় দেশগুলির দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানুষের উন্নয়নের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মতবিরোধ দূর করে ফের বাণিজ্য শুরু করা।'