আজ পরিবহণ ধর্মঘট, রুখতে তৈরি রাজ্যও


নতুন মোটর ভেহিকেল আইন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি-সহ কেন্দ্রের কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার দেশ জুড়ে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিটু এবং অন্য কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। তাতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে ট্রাক-মালিকদের সর্বভারতীয় সংগঠন অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস। তবে বাংলায় ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই সোমবার দাবি পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর কথায়, ''সরকারি, বেসরকারি সমস্ত যাত্রী ও পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কোথাও কোনও পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটবে না।''

পরিবহণ দফতরের কর্তাদেরও দাবি, সরকারি পরিবহণ সচল রাখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিবহণ নিগমের কর্মীদের ধর্মঘটে যোগদান এবং ছুটি নেওয়া নিষিদ্ধ। সাধারণ দিনে যত বাস চলে, আজ, মঙ্গলবার তার দ্বিগুণ বাস চালানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। বেসরকারি বাস, অটোরিকশাও যাতে রাস্তায় থাকে, তার ব্যবস্থা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সব জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে কলকাতায় পরিবহণ ভবনে মনিটরিং সেল খোলা হচ্ছে। মন্ত্রী নিজে সেখানে থাকবেন। তবে দেশজোড়া ধর্মঘটের জেরে পণ্যবাহী গাড়িগুলি অন্য রাজ্যে আটকে পড়লে এ রাজ্যের বাজারেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে অনেকের অভিমত।

সিটুর রাজ্য নেতৃত্ব ধর্মঘটের ডাকে এ রাজ্যের পরিবহণ ক্ষেত্রের কিছু দাবিদাওয়াও যোগ করেছেন। এবং ধর্মঘট সফল হবে বলেই তাঁদের আশা। যদিও সরকার পক্ষের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাওয়া হবে না বলেই এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

নয়া মোটর ভেহিকেল আইন সম্পর্কে সিটুর অভিযোগ, এর ফলে পরিবহণ শ্রমিকদের উপার্জনের পথ জটিল এবং অনিশ্চিত হবে। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, এই আইন নিয়ে সংসদে তাদের প্রতিবাদের পরে সেটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ফলে এখনই ধর্মঘট ডাকা যুক্তিযুক্ত নয়।