দিদির ‘পছন্দ’ বিরিয়ানি; মোদী প্রেমীরা খুশি খিচুড়িতেই


কলকাতা :  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর নভেম্বর মাসে খিচুড়িকে জাতীয় খাদ্য হিসাবে মান্যতা দিয়েছিলেন। ঠিক সেই ঢঙেই অমিত শাহের সভায় কর্মীসমর্থকদের ঢালাও খিচুড়ি দেওয়া হল। তাঁরা খেলেনও তৃপ্তি করে।

একুশের সভায় তৃণমূলের বেশিরভাগ কর্মী সমর্থকরা মজেছিলেন বিরিয়ানি আর মাংসে। জেলা থেকে আসা বেশিরভাগ বাসের পাশে বসেছিল মাংস রান্নার কড়াই। পাশ দিয়ে গেলেই মিলেছে বিরিয়ানির গন্ধ। রাস্তায় বিরিয়ানি আলু গড়াগড়ি খেতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিজেপি ওসব মাংসে নেই। সম্পূর্ন নিরামিষ। খিচুড়ি আর সোয়াবিনের তরকারি দিয়েই খুশি করে দিয়েছেন। ঠিক যেমনটি বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলে কথা। তা কি অমান্য করা যায়। তাই 'যত খুশি তত খাও; জলদি লাও জলদি লাও' খিচুড়ি।

রাঁধুনিরা কাল থেকেই মুরলীধর স্ট্রিটের রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনে এসে হাজির হয়েছিলেন। হাঁড়ি; কড়া নিয়ে তখনই নেমে পড়েছিলেন তারা। পঞ্চাশ হাজারের আয়োজন না হলে সামাল দেওয়া যাবে না। ক্যাটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সমর্থক কর্মী বলেন; "কাল সন্ধ্যা থেকে এসেছি। পার্টি অফিসেই সাত হাজার জনের আয়োজন করেছি।" শহরের অন্য আরও জায়গায় প্রায় লাখ খানেক বিজেপি কর্মীরা। প্রত্যেকের জমায়েত স্থলে রাখা হয়েছে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রায় ৫০ কুইন্টাল খিচুড়ি সঙ্গে দেওয়া হল সোয়াবিন আলুর তরকারি। লাইন দিয়ে খিচুড়ি খেলেন বিজেপি কর্মীরা। অনেকে বসার জায়গা না পেয়ে রাস্তায় বসেই সাবাড় করলেন মোদির তকমা দেওয়া জাতীয় খাবার খিচুড়ি। মালদা থেকে আসা এক বিজেপি কর্মীসমর্থক বলেই দিলেন ; "খিচুড়ির মতো খাবার হয় না।" ঢেঁকুর তুলে বললেন "অসাধারণ।"

বিজেপি নেতা রিতেশ তিওয়ারি বলেন; "খিচুড়ি রান্না করা সহজ। তাড়াতাড়ি হয়। পেট ভরে। মানুষ খেতেও পছন্দ করেন। সেই ভাবনা থেকেই খিচুড়ি খাইয়েছি আমরা।" একইসঙ্গে তিনি বলেন; "বর্ষাকাল বলে খানিকটা ভাবা হয়েছিল খিচুড়িই বেস্ট। কিন্তু আজ তো ব্যাপক গরম ছিল। কিন্তু কর্মীরা মন ভরে খেয়েছেন।"

মোদি এফেক্ট খিচুড়ি হয়েছে কি না তা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন ; "উনি ভেবেছিলেন যখন আমাদের সেই পথে চলতে অসুবিধা কোথায়।"