‌কেরলের পুনর্নির্মাণে ৭০০ কোটি টাকা দেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি


গত ১০০ বছরে এরকম ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখেনি কেরল। ভেসে গিয়েছে রাজ্যের সিংহভাগ এলাকায়। প্রায় ৪০০ প্রাণ গ্রাস করেছে বিধ্বংসী বন্যা। তারপরেই নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করেছে। ৯৫ শতাংশ মানু্ষ এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। সকলের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন এর পর কী হবে?‌ গতকালই কেরলের এক মন্ত্রী বলেছিলেন কেরলের পুণর্গঠনই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেকথাই বোধ হয় কানে পৌঁছেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, কেরলের পুণর্গঠনে নাকি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে পশ্চিমের এই দেশ।

৭০০ কোটি টাকা সাহায্য করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে সেরাজ্যের মানুষ। ঘরবাড়ি ভেসে গিয়ে এখন খোলা আকাশই যে তাঁদের মাথার ছাদ হতে চলেছে তা তাঁরা বুঝে গিয়েছেন। 
কেরলের ভয়াবহ বন্যাকে ইতিমধ্যেই চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে সাহায্য চাইতে ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বিদেশী রাষ্ট্র সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিই প্রথম সাহায্যে এগিয়ে এলো।

গতকালই ওমানে এক কেরলীয়কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণটা ছিল সেই কেরলের বন্যা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেরলের বন্যা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তারজেরে চাকরি খোয়াতে হয় তাঁকে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন রশিদ অল মকতুম টুইটে লিখেছেন কেরলের বাসিন্দারা সবসময় সেদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। কেরলের একাধিক মানুষ ইউএই–তে বসবাস করেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ২০ লাখ ভারতীয় সেখানে বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশই কেরলীয়। সেকারণেই এই সাহায্যের উদ্যোগ। কেরলকে সাহায্য করার জন্য জাতীয় জরুরি কমিটিও গঠন করেছে ইউএই।