সাড়ে ১২ লাখের 'স্বপ্ন' দেখিয়ে ৩৩ হাজার টাকা হাপিস !


কলকাতা : অনলাইনে লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে সাড়ে ১২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল একটি সংস্থা। প্রতারণা চক্রের পাল্লায় পড়েছেন তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি সন্দেশখালির আবদুল কায়েম মণ্ডল। তাই, ওই সংস্থার কথামতো বেশ কিছু টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। ভেবেছিলেন, ছেলে হাসপাতালে ভরতি, এইসময়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা অনেকটাই সাহায্য করবে। কিন্তু, কোথায় কী ? অবশেষে বুঝতে পারলেন কায়েম। বুঝলেন তিনি প্রতারকদের পাল্লায় পড়েছেন। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে পূর্ব যাদবপুর থানায়। তদন্ত করবে লালবাজার গোয়েন্দা দপ্তর।

আবদুল কায়েম মণ্ডল। বাড়ি সন্দেশখালি। কর্মসূত্রে তিনি মুকুন্দপুরে থাকেন। কাজ করেন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্যাথোলজি ল্যাবে। আবদুল একটি অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে কেনাকাটা করতেন। ১৬ জুলাই সেই সংস্থা থেকে ফোন করা হয় তাঁকে। জানানো হয়, তিনি লাকি ড্র জিতেছেন। সাড়ে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার পাবেন। সেসময়ে আবদুলের ছেলে হাসপাতালে ভরতি ছিল। তাই তিনি ভাবেন, টাকাটা এলে সত্যিই উপকার হবে।

আবদুল বলেন, "আমার মাথায় শুধুই ছেলের চিকিৎসার কথা ঘুরছিল। এইসময় ফোন আসে। সংস্থা থেকে বলে আমি সাড়ে ১২ লাখ টাকা পাব। এর জন্য সাড়ে ৮ হাজার টাকা দিতে হবে। আধঘণ্টার মধ্যে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসে যাবে। আমি টাকাটা পাঠিয়ে দিই। কিন্তু, টাকা না আসায় ফোন করি। তখন বলে GST চার্জ বাবদ আরও ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এই টাকাও দিই। তখনও টাকা আসেনি। ফের যোগাযোগ করি। তখন বলে TDS বাবদ আরও ৬২ হাজার টাকা দিতে হবে। তখন আমার সন্দেহ হয়। আর বিষয়টি নিয়ে এগোয়নি। ছেলে অসুস্থ। তাই, থানা-পুলিশও করতে পারিনি। গতকাল পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এরপর লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের তরফে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আমি সেখানে গিয়ে গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলব।"