কেরলের বন্যা দুর্গতদের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দান মাছ বিক্রেতা হান্নানের


পড়ার খরচ জোগাড় করতে সকালের দিকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মাছ বিক্রি করেন কেরলের কলেজ ছাত্রী হান্নান। সোশ্যাল মিডিয়ায় হান্নানের মাছ বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে চরম সমালচনার শিকার হতে হয় তাঁকে। পাশাপাশি এই অদম্য মানসিকতা এবং পড়াশোনার প্রবল ইচ্ছার জন্য অনেকে আবার হান্নানকে প্রশংসাতেও ভরিয়ে দেন। এমনকী, বহু মানুষ হান্নানকে অর্থ সাহায্যও করেন। কেউ কেউ সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন। সেই হান্নানই রাজ্যের বন্যাপীড়িত মানুষকে সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ত্রাণ তহবিলে দেড় লক্ষ টাকা দান করেছেন। 

এ ব্যাপারে হান্নান বলেছেন, ''আমার লড়াইয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর বহু মানুষ আমাকে অর্থ সাহায্য করেছেন। সেই টাকা থেকেই আমি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছি। কারণ বন্যাপীড়িত মানুষরা প্রবল কষ্টের মধ্যে আছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে, কষ্ট লাঘব করতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। ইচ্ছা থাকলেও এর থেকে বেশি অর্থ দেওয়ার মতো ক্ষমতা আমার নেই। এটুকু দিতে পেরে আমি খুশি।'' একই সঙ্গে যাঁদের পক্ষে সম্ভব তাঁদেরকে অর্থ সাহায্য করতে অনুরোধ করেছেন এই কলেজ ছাত্রী।

ইদুক্কির একটি বেসরকারি কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন হান্নান। হতদরিদ্র পরিবারের এই ছাত্রী পড়ার খরচ চালাতেই মাছ বিক্রি করেন। রাজ্যের একটি সংবাদপত্রে হান্নানের মাছ বিক্রির ছবি প্রকাশিত হতেই এক শ্রেণির মানুষ সমালোচনায় সরব হয়। অনেকেই সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিকে ভুয়ো বলেও কটাক্ষ করেন। আবার অনেকেই হান্নানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। তাঁর পড়ার খরচ বহন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই।

হান্নানের মতো কেরলের বন্যা দুর্গতদের পাশে এগিয়ে এসেছেন আরও অনেকেই৷ কেরলে নিপা ভাইরাসে মৃত নার্স লিনির স্বামী বন্যাত্রাণে তাঁর নতুন চাকরির প্রথম বেতনের পুরোটাই দান করেছিলেন৷   

Highlights
পড়ার খরচ জোগাড় করতে সকালের দিকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মাছ বিক্রি করেন কেরলের কলেজ ছাত্রী হান্নান।
হান্নানই বন্যাপীড়িত মানুষকে সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেড় লক্ষ টাকা দান করেছেন। 
যাঁদের পক্ষে সম্ভব তাঁদেরকে অর্থ সাহায্য করতে অনুরোধ করেছেন এই কলেজ ছাত্রী।