নয়া অবতারে রাজধানী-শতাব্দী, প্লেনকেও হার মানবে এই ট্রেনগুলি

নয়াদিল্লি: ট্রেন শব্দটা শুনলেই নাক শিটকোন ৷ সেই তো একইরকমের কম্পার্টমেন্ট ,সেই গন্ধ বেরোনো টয়লেট, তা সে সাধারণ ট্রেন হোক বা রাজধানী-শতাব্দীর মতো প্রিমিয়াম ট্রেন ৷

বাইরে থেকে হয়ত এই ট্রেনগুলি আর পাঁচটা ট্রেনের থেকে একটু আলাদা ৷ কিন্তু কিছু ক্ষণ যাত্রা শুরুর পর হরেদরে সেই এক ৷ তবে এই ট্রেন ছেড়ে যে যাত্রীরা এখন প্লেনকেই বেছে নিচ্ছেন তাদের ফের ট্রেনে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী ভারতীয় রেলওয়ে ৷

ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে তারা ৷ এরই প্রথম পদক্ষেপ এসি ৩ টিয়ার হমসফর এক্সপ্রেস ও চেয়ার কার ট্রেন তেজস এক্সপ্রেস ৷ এই ট্রেনগুলোর মতো করেই সাজিয়ে ফেলা হবে রাজধানী ও শতাব্দীকে ৷ অপারেশন স্বর্ণের সৌজন্যে ১৪ টি রাজধানী ও ১৫ টি শতাব্দী একেবারে নতুন হয়ে উঠবে ৷ প্রতিটি নতুন রেকের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা করে খরচ করছে ভারতীয় রেল ৷

ঝাঁকুনি ফ্রি সফর - এই অক্টোবরের পর থেকে আপনি যখনই রাজধানী বা শতাব্দীতে উঠবেন তখনই এক নতুন অনুভব করবেন ৷ ঝাঁকুনি কী জিনিস তা আর বোঝা যাবে না ৷ প্রতি কোচে লাগানো হচ্ছে কাপলার ডিভাইস ৷ যাতে যাত্রীদের কোনও রকমের অসুবিধা না হয় ৷ যা আসলে খুব উচ্চ মানের শক অ্যাবজরবার ৷

দুর্গন্ধমুক্ত টয়লেট - ভারতীয় রেলে সবচেয়ে সমালোচনা যে জিনিসটা নিয়ে করা হয় তা হল টয়লেট বা আরও ভালো করে বলতে গন্ধযুক্ত টয়লেট ৷ এসি ট্রেনের ৫০০ টি-র বেশি কোচকে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷রাজধানী ও শতাব্দীতে প্লেনের মতো বায়ো ভ্যাকুয়াম টয়লেট করে দেওয়া হবে ৷ফ্লাশের সঙ্গে বেরোবে সুন্দর গন্ধ ৷ যাতে কোনওভাবেই অন্যরকম কিছু না হয় ৷

খাবারের মেন্যুতে বৈচিত্র - ট্রেনের আরও একটা খুব খারাপ দিক যে খাবার দেওয়া হয় সেটি ৷ এবার থেকে যাত্রীরা একটি করে মেন্যু কার্ড পাবেন ৷ যেখানে একাধিক ধরণের খাবারের অপশন থেকে পছন্দের খাবারটি বেছে নেওয়া যাবে ৷ নিরামিষ থেকে আমিষ সব খাবারেই থাকবে এই বৈচিত্র ৷

এদিকে এখন রাজধানী-শতাব্দীর মতো ট্রেনে ভাড়াকে বলা হয় ফ্লেক্সি ফেয়ার ৷ চাহিদা যত বাড়ে টিকিটের দাম তত বাড়ে ৷ সেটার ঢঙেই যেসব রুটে ট্রেনের চাহিদা কম সেখানে টিকিটের ভাড়ায় দেওয়া হবে ডিসকাউন্ট ৷