ডোমজুড়ে ব্যাঙ্ককর্মী খুনে ক্লু একটা কাপড়ের টুকরো


বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী পার্থ চক্রবর্তীর হাত, পা ও মাথার খোঁজে এবার পুকুরে পুকুরে তল্লাশি করছে পুলিস। হাওড়ার ডোমজুড়ের মাকরদহের যে জায়গায় পার্থব বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়, তার আশপাশের পুকুরগুলিতে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশি করা হচ্ছে পুলিস কুকুর দিয়েও।

বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পার্থর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তারপর ২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ব্যাঙ্ককর্মী পার্থ খুন রহস্যের জট খোলসা হয়নি। কে খুন করল? কেন খুন করল? এখনও ধন্দে পুলিস। উত্তর খুঁজে পেতে সূত্র হাতড়াচ্ছে পুলিস। তবে, কাটালিয়া থেকে ২ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ ও সিআইডি। তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পার্থ চক্রবর্তীর ফোনের কলরেকর্ডস ঘেঁটে জানা গিয়েছিল, এক তরুণীর সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হত তাঁর। বুধবারও ওই তরুণী পার্থকে ফোন করেছিলেন। বেলা ১২টা ৫০ নাগাদ পার্থকে ফোন করেছিলেন ওই তরুণী। ঠিক তার ১০ মিনিটের মধ্যেই সুইচ অফ হয়ে যায় পার্থর ফোন। কাটিয়া অঞ্চলে পার্থর ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। ওই তরুণীকে শনাক্ত করার পর বৃহস্পতিবারই তাঁকে জেরা করে পুলিস। কিন্তু তাঁকে জেরা করেও কোনও তথ্য মেলেনি।

অন্যদিকে, পার্থর দেহাংশের মধ্যে মিলেছে কাপড়। সেই কাপড়ের সূত্র ধরেও তদন্ত চলছে। ওই ধরনের কাপড়ের টুকরো দর্জিদের কাছে থাকে। হাওড়ায় ওই এলাকায় বেশকিছু দর্জির দোকান আছে। কোন দর্জির দোকান থেকে ওই কাপড় সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।

বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ ৫ জায়গা থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ঋণের টাকা কালেকশন করতে বেরন পার্থ। ৪ জায়গা ঘুরে ৩ লাখ টাকাও তোলেন তিনি। কিন্তু তারপর আর ৫ম জায়গায় যাননি পার্থ। তার আগেই খুন হয়ে যান চাকদার তরুণ। হাত, পা, মাথা কেটে বস্তাবন্দি করে রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয় পার্থর দেহ। কেউ যাতে চিনতে না পারে, সেজন্য শরীরের তিলও কেটে নেয় খুনি। অন্তর্বাসে লেগে থাকা দোকানের স্টিকার দেখে শনাক্ত করা হয় পার্থ চক্রবর্তীকে।

নদীয়ার চাকদার বাসিন্দা ছিলেন পার্থ। তবে চাকরির কারণে হাওড়ার সলপে থাকতেন। সলপের বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন তিনি।