অবশেষে মিলল হদিস, নীরব মোদী রয়েছেন ব্রিটেনেই


নীরবের ব্রিটেনে থাকার খবর পাওয়ার পরই সিবিআই তাকে দেশে ফেরানোর জন্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছে


এতদিনে হদিস মিলল। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা নীরব মোদী রয়েছেন ব্রিটেনেই। সিবিআইকে জানাল ব্রিটিশ সরকার। ওই তথ্য পাওয়ার পরই নীরব মোদীকে দেশ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।

উল্লেখ্য, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়ে বেপাত্তা নীরব মোদী। তার সঙ্গে তার মামা মেহুল চেকসিরও কোনও খোঁজ পাওয়া ‌যাচ্ছে না। এই হিরে ব্যবসায়ীই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটিকে প্রায় পথে বসিয়ে ছেড়েছে। দুই পান্ডার খাঁজে সিবিআই এতদিন তদন্ত করলেও নিশ্চিত কোনও কিছুই বলা ‌যাচ্ছিল না। এতদিনে সরকারিভাবে একটি নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেল। নীরবের পাশাপাশি তার মামা সম্ভবত অ্যান্টিগায় রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

নীরবের ব্রিটেনে থাকার খবর পাওয়ার পরই সিবিআই তাকে দেশে ফেরানোর জন্য বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছে। কারণ কোনও অভি‌যুক্তকে দেশে ফেরাতে চাইলে তা করতে হয় সুষমা স্বরাজের দফতরের মাধ্যমেই। সিবিআই ব্রিটেনের কাছে আবেদন করেছে, ব্রিটেনে নীরব মোদীকে দেখামাত্রই ‌যেন গ্রেফতার করা হয়। কারণ তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের নোটিশ জারি করা রয়েছে।

উল্লেখ্য, রেড কর্নার নোটিশ জারির পর ইন্টারপোল পৃথিবীর ১৯২ দেশটিকে তা জানিয়ে দেয়। বলা হয় অভি‌যুক্ত ব্যক্তিকে সেদেশে দেখামাত্রই ‌যেন তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই গ্রেফতারির পরই প্রত্যার্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নীরব মোদীর ক্ষেত্রেও সেই একই জিনিস হবে।

পিএনবি জালিয়াতি মামলায় সিবিআই নীরব মোদী, নীরবের মার্কিন নাগরিক স্ত্রী অ্যামি মোদী, বেলজিয়ামের নাগরিক নীরবের ভাই নিসাল মোদী ও নীরবের মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। নীরব ও মেহুল দুজনেই দেশে ফিরে তদন্তের মুখোমুখি হতে অস্বীকার করে।

সংবাদমাধ্যমে সিবিআইয়ের মুখপাত্র অভিষেক দয়াল জানিয়েছেন, বিদেশ মন্ত্রক নীরব মোদীর পাসপোর্ট বাতিল করার পর সেই খবর ইন্টারপোলকে দেওয়া হয়। এতে ইন্টারপোলের আওতায় থাকা দুনিয়ার ১৯২ দেশের পুলিসই তা জানতে পেরে ‌যায়।