১৫ বছর ধরে ১৩ বছরের কিশোরীকে যৌন ক্রীতদাসী হিসেবে গুহাবন্দি করে রেখেছিল গ্রামের ওঝা


অসুস্থ হয়েছিল ১৩ বছরের কিশোরী | বাবা মা নিয়ে গিয়েছিলেন গ্রামের ওঝার কাছে | রেখে এসেছিলেন | মেয়ে আর ফেরেনি | ওঝা বলেছিল সে সুস্থ হয়ে শহরে চলে গেছে কাজ করতে | ১৫ বছর পরে বের করা হল সেদিনের কিশোরীকে | ওঝার বাড়ির কাছে একটি গুহা থেকে | পুলিশের কাছে ওঝা স্বীকার করেছে‚ গত দেড় দশক ধরে সে ছিল তার যৌন ক্রীতদাসী | এই পৈশাচিক ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার এক গ্রামে |

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ | গুহা থেকে উদ্ধার করে আঠাশ বছর বয়সী কিশোরীকে | তাকে ওই ওঝা বুঝিয়েছিল আমরিন নামে এক কিশোরের বিদেহী আত্মা বা জিন ভর করেছে তার উপর | ওই আত্মা কামনা করছে কিশোরীকে | তাই তাকে তুষ্ট করতে হলে যৌন সঙ্গম করতে হবে ওঝার সঙ্গে | নইলে কিশোরীকে মেরে ফেলবে জিন |

এইভাবেই ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন সে কিশোরীর উপর নিজের যৌন লিপ্সা মিটিয়েছে | একাধিকবার গর্ভবতী হয়ে পড়েছে মেয়েটি | গর্ভের ভ্রূণ নিশ্চিহ্ন করার জন্য ওঝাই তাকে দিয়েছে জড়িবুটি | দিনের বেলা তাকে গুহায় লুকিয়ে রাখত | রাতে থাকত ওঝার বাড়ির কাছেই একটি বাড়িতে |

পুলিশের ধারণা‚ গ্রামের আরও অনেক মেয়ের উপর অত্যাচার করেছে অভিযুক্ত ওঝা | তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে | ঘটনাচক্রে নির্যাতিতার বোন ওই ওঝার ছেলের বৌ ! পুলিশ তাকেও জেরা করছে | তদন্তকারীদের ধারণা সে হয়তো নিজের দিদির পরিণতি জানত | কিন্তু শ্বশুরের ভয়ে মুখ বন্ধ করে থাকতে বাধ্য হয়েছে |