বাড়িতে ডেকে নাবালিকাকে ধর্ষণ, আদালতের নির্দেশে সক্রিয় পুলিস

হাওড়া: কুড়কুড়ে কিনে দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতিবেশী কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে ঘরের মধ্যে আটকে ধর্ষণ করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। বিষয়টি বুঝতে পারার পর কিশোরীর পরিবার পুলিসের কাছে গেলেও অভিযোগ নেয়নি। তাই সুবিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয় উলুবেড়িয়া থানার ধূলাসিমলার বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার। অবশেষে আদালতের নির্দেশে প্রতিবেশী যুবক অর্পণ দাস, তার বাবা বাবলু দাস ও মা লীলা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল পুলিস। বর্তমানে ওই কিশোরী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কুমারী মা হওয়া মেয়েকে নিয়ে কী করবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার। অভিযুক্ত যাতে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করে সামাজিক অপমানের হাত থেকে রেহাই দেয় তার জন্য কিশোরীর বাবা আদালতের কাছে আবেদন জানান।

আদালত ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্রতিবেশী অর্পণ দাস নাবালিকাকে কুড়কুড়ে কিনে আনতে বলে। অভিযোগ ছাত্রীটি তার কথামত কুড়কুড়ে নিয়ে অর্পণের বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত তাকে বাড়ির দোতলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। এমনকী বিষয়টি কউকে জানালে তাকে ও তার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেয়। ঘটনার পরে ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে ভয়ে কাউকে কিছু না বলে চুপ করে যায়। বেশ কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরে গত মে মাসে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন তার মায়ের নজরে পড়লে কারণ জিজ্ঞাসা করলে সমস্ত বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ছাত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগ, এরপর প্রথমে অর্পণের বাবা মা ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে যাই। কিন্তু, তাতে সমস্যা সমাধানের কোনও রাস্তা না পেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হই। পরিবারের দাবি, মেয়ের বিপদের কথা নিয়ে পুলিসের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরে আদালতের নির্দেশে পুলিস মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে।