গত বছরের প্রশ্নই ফের এ বছরের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায়!

ডব্লিউবিসিএস-এর পরীক্ষায় হুবহু আগেরবারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ।


আমলা নিয়োগের প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রাট। আর সেই বিভ্রাট ঘিরে চাপানউতোর চলছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন((পিএসসি)-এর অন্দরে।

সোমবার ডব্লিউবিসিএস মেন পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয় উর্দু পরীক্ষা ছিস। কিন্তু, প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে চমকে যান পরীক্ষার্থীরা। এত গত বছরের প্রশ্নের হুবহু নকল!

গত ১৭ অগস্ট থেকে ডব্লিউবিসিএস মেন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ দিন ছিল দু'টি ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী বলেন, "আমরা পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়ে ২০১৭-র প্রশ্ন অনুশীলন করেছিলাম। প্রশ্ন হাতে পেয়ে দেখি, সেই প্রশ্নই হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে এ বছরের প্রশ্নে।"

বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয় পিএসসি-র চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দাশগুপ্তকে। তিনি নিজে যান একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। পিএসসি-র জয়েন্ট সেক্রেটারি এসপি মিশ্রও যান মধ্য কলকাতার একটি কেন্দ্রে। দেখা যায়, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ সঠিক।

পিএসসি সূত্রে খবর, আগের বছরের প্রশ্নপত্র থেকে তিরিশ শতাংশের বেশি প্রশ্ন পরের বছর দেওয়া যায় না। সেই নিয়ম জানা সত্ত্বেও কী ভাবে প্রায় ১০০ শতাংশ প্রশ্ন আবার দেওয়া হল, তার উত্তর এখনও নেই পিএসসি কর্তাদের কাছে।ঘটনারকথা জানাজানি হতেই নবান্নে ডেকে পাঠানো হয় এসপি মিশ্রকে। তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

যদিও গোটা বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের চাকরিতে নিয়োগের সর্বোচ্চ সংস্থার মধ্যে চলছে চাপানউতোর। এক শ্রেণির কর্তাদের দাবি, সর্বোচ্চ কর্তাদের চূড়ান্ত গাফিলতি ছাড়া এই ভুল হওয়া সম্ভব নয়। সাধারণ ভাবে প্রশ্নপত্র করার আগে কোশ্চেন সেটারদের সঙ্গে বৈঠক করেনচেয়ারম্যান নিজে।

এর আগে ২০১৫ সালে পিএসসিতে কাজের স্বাধীনতা নেই, এমন অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছিলেন সেই সময়কার চেয়ারম্যান নুরুল হক। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পিএসসি-র অন্দরে চলছে নানা বিতর্ক, কর্তাদের মধ্যে টানাপড়েন।সাধারণ কর্মীদের দাবি, সোমবারের এই বিভ্রাট সেই দীর্ঘদিনের গন্ডগোলের জন্যই হয়েছে। পিএসসি-র তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে গোটা ঘটনার। পিএসসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পিএসসি অফিস থেকে জানানো হয়, তিনি ব্যস্ত আছেন।