চুরি করতে এসে খুন গৃহবধূকে, মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের


সিউড়ি: চুরি করতে এসে গৃহকর্ত্রীকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মল্লারপুর থানার মুরলীডাঙ্গা গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম মন্দিরা মণ্ডল (৩৬)। মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা৷ তাঁদের দাবি পুলিশ কুকুর এনে খুনের কিনারা করতে হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে, বছর আটেক আগে মুরুলীডাঙ্গাল গ্রামে বসন্ত মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মন্দিরা দেবীর। তাঁদের দুই ছেলে আছে। বড় ছেলে অষ্টম ও ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার দিন দুই ছেলে স্কুলে গিয়েছিল। স্বামী বসন্ত মণ্ডল চাষের কাজে মাঠে গিয়েছিলেন৷ দুপুরে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন ঘরের দরজা হাট করে খোলা। স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়ির নিচে পড়ে রয়েছে। গলায় কালশিটে দাগ।

গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে টোটো ডেকে স্ত্রীকে মল্লারপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় মন্দিরার। এরপর মৃতদেহ ফের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ঘরের ভিতর গিয়ে দেখেন আলমারির দরজা খোলা। আলমারিতে থাকা সোনার গয়না নেই। কানের দুল ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
 
বসন্তবাবু বলেন, 'সকালে চাষের কাজে গিয়েছিলাম। ছেলেরা স্কুলে গিয়েছিল। স্ত্রী বাড়িতে একা রান্নার কাজ করছিল। সেই সুযোগে চুরির উদ্দেশ্যে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকেছিল। স্ত্রী তাদের চিনে ফেলায় খুন করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে৷'

মন্দিরার বাবা দ্বিজেন্দ্রলাল মন্ডল বলেন, 'আমার মেয়ে জামাইয়ের মধ্যে কোনও ঝগড়া ছিল না। তাদের কেউ শত্রু ছিল না। আমাদের অনুমান পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে খুন করা হয়েছে।' ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রামপুরহাট থানার পুলিশ৷ তাঁরা মৃতদেহ তুলতে গেলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখায়। গ্রামবাসীদের দাবি পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্ত করতে হবে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায়। তিনি আশ্বাস দিলে গ্রামবাসী বিক্ষোভ তুলে নেয়৷ তারপর তিনি দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মন্দিরার দেহ রামপুরহাট মর্গে পাঠায়। ঘটনার তদন্তে নেমে রামপুরহাট থানার পুলিশ৷