ক্যারাটের পাঞ্চ ও কিক মেরে ইভটিজারকে ঘায়েল করল কন্যাশ্রী


সিউড়ি: ক্যারাটের পাঞ্চ ও কিক মেরে ইভটিজারকে ঘায়েল করে বান্ধবীর সম্মানরক্ষা করল এক কন্যাশ্রী। বোলপুর গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী পারমিতা ভট্টাচার্য বুধবার বান্ধবীর সঙ্গে টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তার বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করা এক যুবক শান্তিনিকেতন থানার উত্তরনারায়ণপুরের কাছে তাদের ফের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে বাইকে লাথি মেরে তাকে ফেলে দেয় পারমিতা। যুবকটি কিছু করার আগেই তাকে পাঞ্চ, কিক মেরে ঘায়েল করে। কোনওরকমে জীবন বাঁচিয়ে বাইক নিয়ে পালায় ইভটিজার। ইভটিজারের হাত থেকে বান্ধবীকে রক্ষা করায় পারমিতার প্রশংসা করেছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। তিনি বলেন, এখানেই কন্যাশ্রীর সাফল্য, মেয়েদের মনে সাহস দিয়েছে। ওই ছাত্রীর সাহসিকতা প্রশংসনীয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারমিতার এক বান্ধবীর বাড়ি প্রান্তিকে। বেশ কিছুদিন আগে সাথী পারমিতাকে জানায় এক যুবক বেশ কিছুদিন ধরে তাকে বাইক নিয়ে এসে উত্ত্যক্ত করছে। এরপর দু'জনে একসঙ্গে যাতায়াত শুরু করে। পারমিতার জানায়, এদিন তারা টিউশনি পড়তে মকরমপুর যাচ্ছিল। তখনই রাস্তায় উত্তরনারায়ণপুরের কাছে সকাল আটটা নাগাদ সেই ইভটিজার হাজির হয়। এমনকী সে বাইকে থেকে পারমিতার হাত ধরার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেসময় পারমিতা লাথি মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয় ইভটিজারকে। এরপর তার কাছে গিয়ে বারবার কিক, পাঞ্চ মারতে থাকে। ছাত্রীটির হাতে মার খেয়ে কোনওরকমে এলাকা ছেড়ে পালায় ইভটিজার। এরপর দুই বান্ধবী বোলপুর থানায় যায়। পরে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলে জানান পারমিতার বাবা কামদেব ভট্টাচার্য।

কামদেববাবুর বাড়ি শান্তিনিকেতন থানার গোয়ালপাড়ায়। স্ত্রী মধুমিতা ভট্টাচার্য ও তাঁর একমাত্র কন্যা পারমিতা। পড়াশোনায় ভালো হলেও ক্যারাটে শেখার নেশা রয়েছে। চারবছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ক্যারেটে শিখেছে পারমিতা। জেলার বাইরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সে বহু পুরস্কারও জিতেছে। পারমিতার এই কাজে তার বাবা-মায়ের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও খুশি। কামদেববাবু বলেন, মেয়ে সঠিক কাজ করেছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। পারমিতা বলে, আমরা দুর্বল নই এটা ওদের বুঝিয়ে দিতে হবে।