পদত্যাগ করেই মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল সভাপতি!


শিলচরঃ  এনআরসি ইস্যুতে রীতিমত উত্তপ্ত অসমের রাজ্য-রাজনীতি! এই অবস্থায় সুর চড়িয়েছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশে অসম উড়ে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু শিলচর বিমানবন্দরেই তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় মমতার চাপ আরও বাড়িয়ে তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করলেন অসমের তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি দীপেন পাঠক।

আজ বৃহস্পতিবার যখন একদিকে নেত্রীর নির্দেশে শিলচর বিমানবন্দরে পা রেখেছেন তখন দীপেনের পদত্য্যাগ পত্র পৌঁছে গিয়েছে নেতৃত্বের কাছে। যা অবশ্যই বড় ধাক্কা তৃণমূলের কাছে।

পদত্যাগ করার পরেই রীতিমত নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দীপেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন অসম থেকে বাঙালি উৎখাত করতেই এনআরসিতে আনা হয়েছে। আমি তাঁর সঙ্গে একমত নই'। আর এই ধরনের মন্তব্যে অসমজুড়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি দীপেনের। এখানেই শেষ নয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, 'মমতার মধ্যে অসমে ঝামেলা হলে এখানকার মানুষ সেজন্যে আমাকেই দায়ি করবে। আর তা আমি চাই না। আর সেজন্যেই পদত্যাগ' চাঞ্চল্যকর মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের। প্রসঙ্গত, ২০১১-২০১৬ সাল পর্যন্ত হাজো বিধানসভা আসন থেকে তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন দীপেন পাঠক।

দীপেন আরও জানিয়েছেন, এনআরসি ইস্যুতে কোনও বাস্তব জ্ঞান নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অসমের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু না জেনেই খামখেয়ালি মন্তব্য করে যাচ্ছেন তিনি, এমনটাই মত তাঁর। প্রসঙ্গত, অসমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার পিছনে দীপেন পাঠকের ভূমিকা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। হঠাত করে দলের অন্যতম এই সহযোদ্ধার পদত্যাগ আগামীদিনে অসমে তৃণমূলকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।