ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ উদাসীন, নাহলে আটকান যেত এটিএম লুট


কলকাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও হয়েছে গত কয়েকদিনে। এই ঘটনায় কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দায় কম নয়। এই জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তদন্তে জানা গিয়েছে এই টাকা লুটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত এপ্রিল মাসেই। ব্যাঙ্কগুলি সতর্ক হলে এই ঘটনা আটকান যেত।

প্রতিটি এটিএম কিয়স্কেই সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে। টাকা লুটের অভিযোগ আসার পর সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছে কলকাতার অন্তত দুটি ব্যাঙ্কের এটিএম কিয়স্কে কার্ডের তথ্য নকল করার যন্ত্র বসানো হয়েছিল এপ্রিলের গোড়াতেই।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি রুখতে বারবার করে ব্যাঙ্ক কর্তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি বলেই অভিযোগ। নিয়মিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হলে এই বিষয়টি তাদের আগেই চোখে পড়ত। সেক্ষেত্রে রোজগারের টাকা লুট হওয়া থেকে রেহাই পেতে পারতেন গ্রাহকরা।

জানা গিয়েছে দুষ্কৃতীরা এটিএম যন্ত্রেই কার্ডের তথ্য কপি করার যন্ত্র বসিয়ে দিত। একটি কার্ড সোয়াইপ করে সেই যন্ত্রকে চালু করা হত। পরের রাতে আবার তা খুলে নেওয়া হত। ততক্ষণে সেই যন্ত্রে উঠে যেত বহু মানুষের এটিএম কার্ডের তথ্য। কলকাতার দুটি রক্ষীহীন এটিএম-এ দুই যুবককে এই যন্ত্র বসাতে দেখা গিয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। কিন্তু টুপিতে তাদের মুখের বেশিরভাগটাই ঢাকা থাকায় তাদের সনাক্ত করা যায়নি।

এটিএম যন্ত্রে তাদের সোয়াইপ করা কার্ডের তথ্য উঠে গেলেও তা থেকেও এগনো সম্ভব হয়নি। কারণ এটিএম কার্ডে সাধারণত ১৬ সংখ্য়ার একটি নম্বর থাকে, যা দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত কার্ডে ছিল না। তবে এই দুই যুবকের সঙ্গে দিল্লি থেকে মেলা ফুটেজের দুষ্কৃতীদের চেহারার মিল নেই বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে ব্যাঙ্ক কর্তারা আগে থেকে সতর্ক হলে এই পরিস্থিতি যে এড়ানো যেত সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।