সচেতনতা বাড়লেও রোখা যাচ্ছে না বাইক দুর্ঘটনা


কলকাতা: বারবার সচেতন করার পরও হুঁশ ফিরছে না শহরের বাইক চালকদের ৷ গতিহীন বাইকের জেরে শহরে বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনার হার ৷ শহরের দুর্ঘটনার মধ্যে বেশী সংখ্যা হচ্ছে বাইক দুর্ঘটনার ৷ রাতের শহরে বাইক নিয়ে রেসিং করার ইচ্ছে বাইক চালকদের থাকেই ৷ তা রুখতে সন্ধে থেকেই কলকাতা পুলিশ পেট্রোলিং করা শুরু করে দেয় ৷

রাতেও শহরজুড়ে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ ৷ শহরের ফ্লাইওভার ও বাইপাসে সব থেকে বেশী বাইকাররা স্টান্ট করে থাকে ৷ সেই কারণে লালবাজার কর্তারা এই জায়গাগুলিতে নজরদারি অনেকটাই বাড়িয়েছে ৷ সব থেকে বেশি শহরে যে জায়গাগুলিতে দুর্ঘটনা ঘটে সেই স্পটগুলি কেও চিন্হিত করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ ৷ এত পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও এই বছরে বাইক দুর্ঘনার হার কমেনি ৷


তারিখ        মৃতের সংখ্যা
৪ঠা এপ্রিল      ১ জন
২রা মে            ৩ জন
১৭ই জুন           ২জন
১৭ই জুলাই          ১জন
২৯শে জুলাই-        ১জন


শহরজুড়ে রয়েছে সিসিটিভির ব্যবস্থা ৷ বাইক চালকদের দাপাদাপি রুখতে সিসিটিভি ফুটেজে মনিটরিং চালাচ্ছে পুলিশ ৷ সচেতন করার পরেও এখনও শহবাসীদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহার না করার প্রবনতা দেখা দিচ্ছে বলে জানান লালবাজারের এক কর্তা ৷ফ্লাইওভার ও ইএম বাইপাসে পুলিশের পেট্রোলিং এ জোড় দেওয়ার পর বাইক চালকেরা পুলিশের নজর এড়াতে নতুন ঠিকানা খুঁজে বেড়াচ্ছে ৷

ইতিমধ্যেই সমস্ত ট্রাফিক গার্ডগুলিকে তাদের এলাকায় কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার ৷শহরের গলিগুলোকে টার্গেট করছে বাইক চালকেরা ৷তাদের রুখতে বিভিন্ন জায়গায় স্পিড ব্রেকার বয়ানো হয়েছে ৷ বাইক আরোহীদের ভালো হেলমেট ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ ৷ বিগত কয়েক বছরের হিসেব অনুযায়ী শহরে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কমেছে ৷তবে পুলিশ শহরে বাইক চালকদের দাপাদাপি কমিয়ে দুর্ঘটনার হার আরও কমাতে চাইছে ৷