করুণানিধির শেষবিদায়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, পদপিষ্ট হয়ে মৃত ২, আহত ৩৩


চেন্নাইয়ের রাজাজি হলের বাইরের প্রাঙ্গণে কলাইনর করুণানিধিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনস্রোতে পরিণত হয় মানুষের ভিড়। বাড়তে থাকে বিশৃঙ্খলা। একসময়ে বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। ডিএমকে নেতা এমকে স্তালিন নিয়ে রাজ্য জুড়ে সদস্য সমর্থকদের শান্ত থাকার আবেদন জানান।

তবে তা সত্ত্বেও জনতার উন্মাদনা বাঁধ ভেঙে যায়। হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও ৩৩জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত করুণানিধির মরদেহ রাজাজি হলে শায়িত রাখা হবে। তারপরে শবযাত্রা এগিয়ে যাবে মেরিনা বিচের দিকে। সেখানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করুণানিধিকে শেষবিদায় জানানো হবে। এদিন সকালেই ডিএমকে-র আবেদন মেনে নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। মেরিনা বিচে আন্নাদুরাইয়ের মেমোরিয়ালের অদূরেই কলাইনরকে সমাধিস্থ করা হবে। যা তৈরির কাজ ইতিমধ্যে জোরকদমে চলছে।

এদিন সংসদের দুই কক্ষের কাজ পুরোপুরি মুলতুবি করে দেওয়া হয়। সাংসদ না হলেও করুণানিধির মতো বিরাট মাপের নেতার সম্মানে সভার কাজ মুলতুবি রাখা হয়।

তামিলনাড়ুতে এদিন রাজ্য জুড়ে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। এবং সাতদিনের শোক পালনের ঘোষণা হয়েছে। এদিন সমস্ত রাজ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।